Kolkata Air Pollution : দূষণের কবলে রাজধানীতে বন্ধ স্কুল, কলকাতা-হাওড়া সহ জেলার ‘হাওয়া’ কেমন জানেন? – kolkata howrah air quality index is far better than delhi


দূষণে জেরবার দিল্লি। বাতাসের মান এতটাই খারাপ যে সেখানে প্রাথমিক স্কুল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আর রাজধানীর বাতাসের এই বেহাল দশা দেখে রীতিমতো উদ্বেগে সাধারণ মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কলকাতার বাতাস কতটা সুস্থভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার যোগ্য!

কলকাতার বাতাসের গুণমান
দোরগোড়ায় কালীপুজো। অনিয়ন্ত্রিত বাজি পোড়ানোর জন্য যাতে বায়ু দূষণ বেড়ে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য তৎপর প্রশাসন। কলকাতায় দূষণ সৃষ্টিকারী ‘পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) ২.৫’ -এর পরিসংখ্যান বৃদ্ধি পাচ্ছে, সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছিল একটি গবেষণাকারী সংস্থা। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে ২০২০ সালে কলকাতায় পিএম ২.৫ কমেছিল ২৬.৮ শতাংশ। ২০২১-এ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১.৭ শতাংশ, জানা গিয়েছে এমনটাই। ২০২২ সালে তা কমলেও ২০২৩ সালে তা ফের বেড়েছে এবং দাঁড়িয়েছে ৪০.২ শতাংশ।

শুক্রে কলকাতার বাতাস কেমন?
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে- ফোর্ট উইলিয়াম, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী, রবীন্দ্র সরোবর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে বাতাস ‘মডারেট’ অর্থাৎ মধ্যমানের। তবে রবীন্দ্রসরোবরের বাতাসের গুণমান সন্তোষজনক।

কেমন রয়েছে হাওড়ার বাতাস?
কলকাতার পাশাপাশি দূষণের নিরিখে হাওড়াও চিন্তার ভাঁজ ফেলে বিশেষজ্ঞদের কপালে। কারণ সেখানেও বহু কলকারখানা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কলকাতার থেকে অনতিদূরে এই শহরের বাতাসের হাল কেমন? জানা যাচ্ছে, বেলুড় মঠ সংলগ্ন স্টেশনের আপডেট অনুযায়ী, সেখানকার বাতাসের গুণমান সন্তোষজনক। কিন্তু, ঘুসুড়ি এবং পদ্মপুকুরে বাতাসের মান ‘মডারেট’ বা মাঝামাঝি মানের।

Delhi Air Pollution News: ‘বাইরে খেলতে পারতাম না…’, দিল্লি দূষণে মুখ খুললেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
কালীপুজো এবং দীপাবলিতে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণই চ্যালেঞ্জ

দোরগোড়ায় কালীপুজো এবং দীপাবলি। এই সময় বাজি ফাটানোর একটা প্রবণতা অনেকের মধ্যেই লক্ষ্য করা যায়। যদিও প্রশাসন এই প্রসঙ্গে অনেকটাই সচেতন। কোনওভাবেই যাতে বাজি ফাটানো থেকে সাধারণ মানুষকে কষ্ট পেতে না হয় বা তাদের অস্বস্তির কারণ হয়ে না দাঁড়ায় সেই জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিক্রির ক্ষেত্রেও করা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ। কালীপুজোর সময় বাতাসের গুণমান বজায় রাখাই আসল চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে এক্ষেত্রে।

উল্লেখ্য, দিল্লির বাতাস সম্পর্কিত রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকেই রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে আসা তথ্য রীতিমতো চাঞ্চল্যকর। ২০১৯ সালের পর থেকে রাজধানীতে প্রতি বছরই বৃদ্ধি পেয়েছে দূষণকারী পিএম ২.৫।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *