কাদের কৃতিত্ব এই আবিষ্কার?
বিটল প্রজাতির ওই কালো পতঙ্গটি অস্তিত্ব বাঙালি বিজ্ঞানীদের একটি দলই খুঁজে পায়। সম্প্রতি গবেষক দেবিকা ভুঁইঞ্জা, বিজ্ঞানী দেবাংশু গুপ্তা, শুভঙ্করকুমার সরকার ও ডির্ক আহরেন্স বিটলটি নিয়ে কাজ করছিলেন। গবেষণাগারে এই বিটলটি সংরক্ষিত ছিল। সেটা অনেকটা অপরিশোধিত হীরের মতো। সেটি নিয়ে গবেষণার পরে দেখা যায়, তার অভিনবত্ব।
পতঙ্গটির সম্পর্কে জানেন?
এই নির্দিষ্ট ধরনের পতঙ্গ উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ ভক্ষণ করে। এই পতঙ্গ কৃষি কাজের ক্ষেত্রে কোনও উপকারী ভূমিকা নেয় কি না, তা বিজ্ঞানীরা খতিয়ে দেখছে। তবে একাংশ, ক্ষতি করে বলেই দাবি করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহার থেকে এখনও পর্যন্ত এই বিটল পরিবারের প্রায় ২১টি প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। এই আবিষ্কারের কথা ইতিমধ্যেই জুট্যাক্সা নামে একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
কী বলছেন বিজ্ঞানীরা ?
জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানী দেবাংশু গুপ্তা এই প্রজাতির বিষয়ে এই সময় ডিজিটালকে জানিয়েছেন বেশ কিছু তথ্য।
- কী খায় ‘মালাদেরা কলকাতাএনসিস’?
বিভিন্ন উদ্ভিদের পাতাই এই প্রজাতির প্রধান খাদ্য। তাই গাছপালাতেই তাদের দেখা মিলবে।
- কতদিন বাঁচে এই প্রজাতি?
ঠিক এই প্রজাতির ‘পতঙ্গ’ কতদিন বাঁচে তা নিশ্চিতভাবে এখনই জানা যায়নি। তবে সাধারণত এই গোত্রীয় পতঙ্গদের আয়ু ৬ মাস থেকে ১ বছর হয়ে থাকে।
- মানুষের জন্য ক্ষতিকারক এই প্রজাতি?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, একেবারেই নয়। হওয়ার কথাও নয়। তবে চাষের ক্ষেত্রে এই পতঙ্গ ক্ষতিকারক হতে পারে।
- এখন কোথায় দেখা মিলবে এই পতঙ্গের?
দেবাংশুবাবু বলেন, ‘আমি নিশ্চিত বেহালাতে পাওয়া যাবে এই পতঙ্গ। আমরাও সমীক্ষা করব।’
জীব বৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা বহু বিজ্ঞানী বলছেন, কলকাতার মতো জনবহুল শহরে এ ধরনের আবিষ্কার খুবই ভালো খবর। জীববৈচিত্র্য সব হারিয়ে যাচ্ছে বা কমে যাচ্ছে, সেটা যে পুরোপুরি ঠিক নয় তা এ থেকে প্রমাণিত। নতুন প্রজাতিরও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। মধ্য কলকাতার জলাভূমি, লেক, গাছপাালা কলকাতাকে অন্য অনেক মেট্রো পলিটন শহরের থেকে জীব বৈচিত্রর দিক থেকে ভালো রেখেছে। এই নিয়ে আরও সমীক্ষার প্রয়োজন আছে।