রেশন বণ্টন দুর্নীতিকাণ্ডে শ্রীঘরে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বালুর গ্রেফতারি নিয়ে চর্চার মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নতুন তৃণমূল’ তত্ত্ব নিয়ে জলঘোলা তুঙ্গে। নেপথ্যে রাজ্যের সেচমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনার দাপুটে নেতা পার্থ ভৌমিকের একটি মন্তব্য। ‘২০২১-এ তৃতীয় তৃণমূল সরকার গঠনের পর কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই।’ পার্থর এই মন্তব্য নিয়ে ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে আলোচনা সর্বত্র।
পার্থ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। একথাও কারও অজ্ঞাত নয়। তাই তাঁর এহেন মন্তব্যের পর একাধিক ‘জিজ্ঞাসা’ ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি পুরনো নেতাদের ‘কৃতকর্মের’ দায় নেবে না দল? কারও কারও মনে প্রশ্ন, এবার কি ধাপে ধাপে ‘পুরনো তৃণমূল’-এর নেতাদের ঝেড়ে ফেলার পালা? এই আবহে এই সময় ডিজিটালের কাছে মুখ খুললেন সেচমন্ত্রী। খোলসা করলেন নিজের সেদিনের বক্তব্য।
‘নতুন তৃণমূল’ পার্থ উবাচ
এই সময় ডিজিটালের প্রশ্নের মুখে নৈহাটির বিধায়ক বলেন, ‘আমি শুধু ২০২১-র কথা বলিনি। আমি বলেছি ২০১১ থেকে ২০১৬ অবধিও সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ ছিল না। তখন কিন্তু অভিষেক কোনও দায়িত্বে ছিলেন না। ২০২১-এ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন তৃণমূলের কথা বলেন। তারপর এই আড়াই বছরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ নেই। আমার বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে ভুল ভাবে দেখানো হয়েছে।’
শুভেন্দুকে নিশানা পার্থর
এদিন ফের একবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছেন সেচমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যা অভিযোগ সবই ২০১৬ থেকে ২০২১ এর মধ্যে। সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী এই সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। যে সময়কালে শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী ছিলেন, দুর্নীতির অভিযোগ সবথেকে বেশি সেই সময়। তদন্ত হলে তো শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও হওয়া উচিত।’
কী বলছে বিজেপি?
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এখন কী আর এই সব কথা বলে কোনও লাভ আছে! মুখ ফসকে মনের কথা বেরিয়ে গিয়েছে, সেই কারণে ম্যানেজ করার জন্য এখন শুভেন্দু অধিকারীর নাম বলে চালাচ্ছেন। এটা খুবই হাস্যকর কথা। রথীন ঘোষ ও পার্থ ভৌমিক বোঝাতে চেয়েছিলেন ২০২১ এর মন্ত্রিসভা গঠনে যেহেতু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ছিল, সেই কারণে কোনও দুর্নীতি হয়নি। এই কথা বলা যায় নাকি! তিনবারই একই দল ক্ষমতায় ছিল। তৃণমূল আসলে শুভেন্দু জ্বরে কাঁপছে।’