ঠিক কী ঘটনা
পার্ক সার্কাস এলাকার এই শপিং মলে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের জমায়েত হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। মলের সাত তলা থেকে মরণঝাঁপ দেন ওই যুবক। মলের চৌহদ্দির মধ্যে পার্কিং লটের ৪ নম্বর গেটের কাছে পড়ে তাঁর দেহ। আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসেন নিরাপত্তারক্ষীরা। খবর দেওয়া হয় কড়েয়া থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই যুবকের কাছ থেকে পাওয়া নথি থেকে তাঁর পরিচয় জানা গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
ওই যুবক ঠিক কী কারণে আত্মঘাতী হলেন, তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। পুলিশের তরফে যুবকের পরিবারকে খবর পাঠানো হয়েছে। ওই যুবক মানসিক অবসাদ থেকে আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন না পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন কড়েয়া থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গেও এই নিয়ে কথা বলা হতে পারে।
কোয়েস্ট মলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
পার্ক সার্কাস এলাকার কোয়েস্ট মল শহরের জনপ্রিয় শপিং মলগুলির মধ্যে অন্যতম। এখানে বিভিন্ন নামী দামি ব্র্যান্ডের বিপনী থাকার পাশাপাশি রয়েছে সিনেমা হল ও নানা ধরনের খাবারের দোকান। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন কারণে এই শপিং মলে ভিড় করেন। সেখানে কী ভাবে এই যুবক সাত তলা থেকে ঝাঁপ দিলেন? বিষয়টি কী ভাবে মলের নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে গেল? সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয়দের দাবি কোয়েস্ট মলে কয়েক বছর আগেও এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ রহমান বলেন, ‘শপিং মলে প্রচুর মানুষ আসেন। সেখানে এই ধরনের ঘটনা মলের নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল। কয়েক বছর আগেও এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। কোয়েস্টের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা উচিত।’