কী জানা যাচ্ছে?
পাথরপ্রতিমা এলাকায় বাঘের আতঙ্ক নতুন নয়। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের শ্রীধর নগর এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখে আতঙ্কে এলাকাবাসী। গতকাল সন্ধ্যায় সুস্মিতা দাস নামে এক স্কুল ছাত্রী নদী বাঁধে ষাঁড় এবং কুকুর দৌড়নো দেখে কিছু একটা সন্দেহ করেন। এরপর লাইট মেরে দেখেন কাছেই একটি বাঘ বসে আছে। আতঙ্কে চিৎকার করে বাড়িতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে সেই ছাত্রী। জ্ঞান ফিরলে পরিবারের লোকজনকে বাঘের কথা জানায় সেই ছাত্রী।
আতঙ্ক শুরু এলাকায়
এরপর থেকেই এলাকায় বাঘের আসার খবর রটে যাওয়ার কারণে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। প্রথম প্রথম এলাকার মানুষ তার কথা বিশ্বাস না করলেও সকালে পায়ের ছাপ দেখে বন দফতরকে জানায়। বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে জঙ্গলের কাছে হাজির হয় শত শত মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারাই খবর দেয় বন দফতরকে।
বন দফতরের উদ্যোগ
তড়িঘড়ি বন দফতর সেখানে উপস্থিত হয়ে বাঘের পায়ের ছাপ চিহ্নিতকরণ করে। এরপর সতর্কতামূলক হিসাবে মাইক ক্যাম্পিং সহ এলাকার মানুষকে সচেতন করার কাজ শুরু করে বন দফতরের আধিকারিকরা। এমনকি বন দফতরের পক্ষ থেকে জঙ্গলের পাতা হয় ৩ টি খাঁচা। বন দফতরের কর্মীদের সঙ্গে কয়েক শতাধিক মানুষ রাত্রে পাহারা দিতে শুরু করেছে। তবে আজ সকাল পর্যন্ত বাঘ মামার দেখা মেলেনি। শুক্রবার সকালেও গ্রামবাসীরা লাঠি হাতে নদী বাদে পাহারা দিতে থাকেন। বন দফতরের আধিকারিকরা লঞ্চে করে নদীতে নজরদারি চালান। তবে বাঘের অবস্থান এখন কোথায়? পায়ের ছাপ দেখে বোঝার চেষ্টা করছে বন দফতর।
উল্লেখ্য, গত বছরই পাথরপ্রতিমা এলাকার পূর্ব সুরেন্দ্রনগর গ্রামের জোড়া বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঠাকুরান নদীর চরে একজোড়া বাঘ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর থেকে বন দফতরের পাহারা শুরু হয়। বন দফতরের আধিকারিকরা জানান, নিকটবর্তী জঙ্গল থেকে খাবারের খোঁজেই বাঘ চলে আসে লোকালয়ে।