IT Notice : পুত্র-সহ অখিল গিরিকে আয়কর বিভাগের নোটিশ? শুভেন্দুর মন্তব্যে তোলপাড় – bjp leader suvendu adhikari has claimed income tax department has sent notice to minister akhil giri and his son


রাজ্যে একাধিক দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে ইডি-সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এরই মাঝে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি ও তাঁর পুত্রকে আয়কর দফতরের তরফে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর বিরোধী দলনেতার এহেন দাবিকে ঘিরে তীব্র জল্পনা শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিকমহলে। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি।

কী বললেন শুভেন্দু?
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে এক সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘সংবাদমধ্যমের থেকে খবর পেলাম, এই জেলার যে মন্ত্রী রয়েছেন, কারামন্ত্রী, তিনি ইনকাম ট্যাক্সের নোটিশ পেয়েছে। তাঁর পুত্রও পেয়েছেন। ১৩ তারিখে আয়কর ভবনে ডেকেছে।’ শুভেন্দুর এহেন মন্তব্যের জেরেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় জেলার রাজনৈতিকমহলে।

অখিল গিরি যা বললেন…
পরে এই বিষয়ে অখিল গিরিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘না আমরা এখনও কোনও নোটিশ পাইনি। উনি (শুভেন্দু অধিকারী) তো অনেক সময় অনেক কথা বলেন। তবে আমরা নোটিশ পেলে বলব। নোটিশ পেলে নিশ্চিতভাবে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কিন্তু আমরা এখনও নোটিশ পাইনি, অনেকেই বলছেন, তবে আমরা এখনও পাইনি।’

এদিকে এদিনই শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীর সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের মুখপাত্র দাবি করেন, নির্বাচনী হলফনামায় দেখা যাচ্ছে, এক বছরে শিশির অধিকারীর সম্পত্তি ১০ কোটি টাকা হয়েছে। ১৬ লক্ষ টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা, কী ভাবে এক বছরের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধি, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এই তৃণমূল নেতা। এদিন দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক বিভিন্ন নথি পেশ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ২০১১ সালে শিশির অধিকারী সম্পত্তি ১৬ লক্ষ টাকা ছিল, আর সেটাই ২০১২ সালে বেড়ে হয়েছে ১০ কোটি টাকা।

তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ‘সম্পত্তি বৃদ্ধির সব চেয়ে বড় উদাহরণ হলেন শিশির অধিকারী, এক বছরে ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি, কী ভাবে এটা সম্ভব? আর বাকিদের দিকে আঙুল তুলছেন শুভেন্দু?’ এমনকী তিনি যে তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন, তা ঠিক না ভুল, সেটিও শিশির অধিকারীর থেকে জানতে চেয়েছেন কুণাল। অন্যদিকে কুণালের এহেন দাবির জবাবও দিয়েছেন শিশির অধিকারী। তিনি বলেন, ‘১৯৬৮ সাল থেকে আয়কর দিচ্ছি, সমস্ত রেকর্ড আছে, কেউ চাইলেই দেখে নিতে পারেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *