Kanyashree : ‘…মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নোবেল পুরস্কারের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন!’ দাবি শিক্ষক নেতার – tmc teachers cell leader claims cm mamata banerjee may get nobel prize in future for her kanyashree project


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামীদিনে নোবেল পুরস্কার পেতে চলেছেন! ঝাড়গ্রামে বিজয়া সম্মিলনী ও কৃতিদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে এসে মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় কার্যত এমনই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি প্রীতম কুমার হালদার। শনিবার ঝাড়গ্রাম শহরের কুমোদ কুমারী স্কুলে তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। সেই বিজয়া সম্মিলনীর মধ্য দিয়ে জেলার কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনাজ্ঞাপনও করা হয় তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে।

ঠিক কী বললেন?
এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় প্রীতম কুমার হালদার বলেন,’কন্যাশ্রী প্রকল্প শুধু বাংলা নয়, ভারতবর্ষ নয়, সারা পৃথিবীজুড়েই একটি গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি আপনাদের বলছি, আমার যেটা মনে হয়, আগামীদিনে কন্যাশ্রীর হাত ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নোবেল পুরস্কারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।’ প্রীতম কুমার হালদারকে মুখ্যমন্ত্রীর নোবেল পুরস্কার প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,’মুখ্যমন্ত্রীর কন্যাশ্রী একটি যুগান্তকারী প্রকল্প, যা নিয়ে সারা পৃথিবীজুড়ে গবেষণা হয়। এই ধরনের প্রকল্পগুলি বিশ্বের দরবারে বেশি সমাদৃত হয়। সুতরাং আমরা এটা বলতেই পারি, আগামীদিনে আমাদের নেত্রী এমন বিরল সম্মান পাবেন। এটা আমরা আশা করতে পারি।’

আর যাঁরা ছিলেন অনুষ্ঠানে…

এদিনের বিজয়া সম্মিলনীর প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি প্রীতম কুমার হালদার। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তথা প্রাক্তন মন্ত্রী চূড়ামনি মাহাতো, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি, জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক শক্তিভূষণ গঙ্গোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি তথা ডিপিএসসি-র চেয়ারম্যান জয়দীপ হোতা, ঝাড়গ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুমন সাহু। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়গুলির প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকারা।

অতীতে পুরস্কৃত হয়েছে কন্যাশ্রী
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ক্ষমতার আসার পর কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফলে রাজ্যের লাখ লাখ ছাত্রীরা উপকৃত হচ্ছেন। এর আগে আন্তর্জাতিকস্তরে সম্মানিত হয়েছে কন্যাশ্রী। গত ২০১৭ সালে, রাষ্ট্রপুঞ্জের পাবলিক সার্ভিস ডের-র অনুষ্ঠানে বিশ্বের ৬৩ দেশকে পিছনে ফেলে সেরার সেরা প্রকল্প হিসেবে সম্মান পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের এই প্রকল্পটি। প্রতিবছর ১৪ অগাস্ট রাজ্যে কন্যাশ্রী দিবস উদযাপন করা হয়। এর আগে ইউনিসেফের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন দফতর আয়োজিত ‘গার্ল সামিট’-এও সেরা নির্বাচিত হয়েছিল কন্যাশ্রী। পাশাপাশি পেয়েছে মন্থন পুরস্কারও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *