Naihati Boro Maa : নৈহাটির বড়মা এবার শিলিগুড়িতেও, বড় চমক ২৫ ফুটের প্রতিমা – naihati boro maa style kali idol is preparing at siliguri


ভক্তরা বলেন, ধর্ম যার যার, বড়মা সবার। সত্যিই হয়তো বড়মা সবার। কারণ নৈহাটির কালীপুজো মানেই আপামর দর্শনার্থীদের প্রথম ও প্রধান গন্তব্য বড়মা। কারণ নৈহাটিবাসীর আবেগের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িতে তিনি। ভক্তদের বিশ্বাস, বড়মার দ্বারে অন্তর থেকে কিছু চাইলে তিনি নিরাশা করেন না। তাই বড়মার কাছে, ভক্তদের ঢল সারা বছর। আর কালীপুজোর সময় তো কথাই নেই। এবার তো শতবর্ষে বড়মা, তাই আবেগ ও উন্মাদনা আরও কয়েক গুণ বেশি।

তবে শুধু নৈহাটিই নয়, গোটা উত্তর ২৪ পরগনা তথা দক্ষিণবঙ্গ, এমনকী উত্তরবঙ্গেও ছড়িয়ে পড়েছে বড়মার মহিমা। সেখানেও মানুষ স্মরণ করছেন বড়মাকে। আর তাই হয়তো আসন্ন কালীপুজোয় এবার শিলিগুড়ির বুকেও দেখা যাবে বড়মার ছোঁয়া। বিষয়টা বুঝলেন না তো? আসলে কালীপুজোয় শিলিগুড়িতে এবার বিশেষ চমক। এই বছর শিলিগুড়িতে তৈরি হচ্ছে নৈহাটির বড়মার আদলে প্রতিমা, যার উচ্চতা সব মিলিয়ে প্রায় ২৫ ফুট।

শিলিগুড়ির হায়দারপাড়া নিউ পালপাড়া মহামায়া স্পোর্টিং ক্লাবে এবার তৈরি হচ্ছে নৈহাটির বড়মায়ের আদলে কালী প্রতিমা। দুর্গাপুজোর আগে থেকেই প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। পুজো মণ্ডপেই চলছে মায়ের প্রতিমা তৈরির কাজ। আর বড়মায়ের মন্দিরের বার্তা অনুসারেই ৪৪ তম বর্ষে মহামায়া স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোর থিম ‘ধর্ম যার যার, বড়মা সবার’।

নৈহাটিতে বড়মায়ের প্রতিমা যে ভাবে তৈরি হয়, ঠিক সেই ভাবেই স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা মাচা বেঁধে সিঁড়ি লাগিয়ে তৈরি করছেন শিলিগুড়ির প্রতিমা। ক্লাব সূত্রে খবর, প্রতিমার উচ্চতা ২১ ফুট, যা অলঙ্কারের উচ্চতা মিলিয়ে মোটামুটি ২৫ ফুট হবে। উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থেকে পৌঁছবে মায়ের গয়না। তবে প্রতিমায় সোনার অলঙ্কার থাকবে না। যদিও উদ্যোক্তাদের আশা, আগামী বছর তাঁরা সোনার গয়নায় মাকে সাজাতে পারবেন।

এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শিলিগুড়িজুড়ে কার্যত হইচই পড়ে গিয়েছে। কারণ, শিলিগুড়িরবাসীর অনেকেই বড়মার মহিমার কথা শুনেছেন, কিন্তু সরাসরি তাঁর দর্শন পাওয়ার সুযোগ হয়নি। তাই তাঁরা এবার মুখিয়ে বসে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, কালীপুজোর দু’দিন আগে থেকেই প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন দর্শনার্থীরা। পুজোয় ভোগের ব্যবস্থাও থাকছে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা। কর্মকর্তার জানাচ্ছেন, যেহেতু এত বড় প্রতিমা, তাই নদীতে বিসর্জন দেওয়া যাবে না। সেই কারণে পুজোর পর দমকলের সহায়তায় মণ্ডপ প্রাঙ্গণেই গলিয়ে দেওয়া হবে প্রতিমা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *