কী জানা যাচ্ছে?
রাজ্য জুড়ে ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে টানা সাত বছর চাকরি করছিলেন এঁরা। প্রত্যেকে শিক্ষকের বিরুদ্ধে টেট পাস না করার অভিযোগ রয়েছে। এঁদের বিরুদ্ধে তথ্য আদালতে পেশ করেছিল সিবিআই। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ৯৪ জন শিক্ষকের কাছ থেকে টেট পাস সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু, টেট পাস সার্টিফিকেট জমা দিতে না পারার কারণে তাঁদের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিজেদের নিয়োগ করা শিক্ষকদেরই চাকরি বাতিল করল পর্ষদ।
আর কী জানা যাচ্ছে?
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আদালতে ৯৬ জনের টেট পাশ নিয়েই সংশয় প্রকাশ করে রিপোর্ট পেশ করেছিল। সিবিআই সবিলিয়ে মত ৯৬ জন শিক্ষকের তালিকা তৈরি করেছিল বলে জানা যায়। সেই তালিকায় থাকা ৯৪ জন টেট পাশই করেননি বলে অভিযোগ তোলা হয়। এরপর হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলা ওঠে। ডিপিএসসি মারফত ওই ৯৬ জনকে পর্ষদ ডেকেও পাঠিয়েছিল আদালত। এর মধ্যে ৯৫ জন পর্ষদের অফিসে হাজির হয়েছিল। কিন্তু ৯৪ জন সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ৯৪ জন শিক্ষক গত সাত বছর ধরে চাকরি করছিলেন এবং বেতন পাচ্ছিলেন। তবে তাঁদের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির DPSC চেয়ারম্যানের কাছে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। অবিলম্বে তাঁদের সার্ভিস বুক বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্ষদ সূত্রে খবর, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থী ছিলেন এঁরা। ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে এঁরা নিযুক্ত হয়েছিলেন। অর্থাৎ, মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি থাকাকালীন এঁরা চাকরি পান।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে তদন্ত চালিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শিক্ষা দফতরের একাধিক শীর্ষ আধিকারিক গ্রেফতার হয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা অনুযায়ী ২০১৬ সালে নিয়োগ হওয়া ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও, পরে সেই মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।