Royal Bengal Tiger : ষাঁড়কে তাড়া করে গ্রামের রাস্তায় বাঘ – before winter tigers fear again in sundarbans localities


এই সময়, পাথরপ্রতিমা: শীত পড়ার আগেই সুন্দরবনের লোকালয়ে ফের বাঘের আতঙ্ক। ঠাকুরান নদী ও জগদ্দল নদীর সংযোগস্থলের কাছে পাথরপ্রতিমার দিন্দাপাড়া সংলগ্ন রক্সিন নদীর চরে বুধবার সকালে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছিলেন স্থানীয়রা। সন্ধের দৃশ্য আরও ভয়ানক। একটি ষাঁড়কে তাড়া করেছিল বাঘ। কুকুরের চিৎকারে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন স্থানীয়রা।

দেখেন নদীর পাড় লাগোয়া রাস্তা বসে রয়েছে বাঘটি। নিমেষে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সকলে ঘরে ঢুকে পড়েন। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাতেই বন দফতরের রামগঙ্গা রেঞ্জের আধিকারিক ও বনকর্মীরা চলে আসেন। আসে গোবর্ধনপুর উপকূল থানার পুলিশও। রাতভর জঙ্গল ও নদীর তীরবর্তী এলাকায় পাহারা দেন বনকর্মী, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে চলে আসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও মিলন মণ্ডল ও এডিএফও। বাঘকে খাঁচাবন্দি করার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বনকর্মীদের একটি দলকেও নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে নদীর ওপারের জঙ্গল থেকে বাঘের গর্জন শোনা যায়। এরপরেই নদীর ধারে লোকালয়ের চার কিলোমিটার নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়।

শীতের মরশুমে সুন্দরবনে ভিড় জমান পর্যটকরা। সুন্দরবনে গিয়ে বাঘ দেখতে পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তু শীত পড়ার আগে সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমা ব্লকের শ্রীধরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবর্ধনপুর উপকূল থানার এল-প্লটের লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন বনদফতর। এখনও নদীর চরে স্পষ্ট বোজা যাচ্ছে বাঘের পায়ের ছাপ।

বন দফতরের কর্মীদের অনুমান, বাঘটি ধনচি অথবা ধূলিভাসানী জঙ্গলের থেকে এসে থাকতে পারে। রাতে আগুন জ্বালিয়ে পাহারা দেন বন দফতরের রামগঙ্গা রেঞ্জের আধিকারিক, ধনচি বিট অফিসার ও বন দপ্তরের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাঘের পায়ের ছাপ ধরে গতিবিধির উপর নজরদারি শুরু হয়। এমনকী ছাগলের টোপ দিয়ে দু’টি খাঁচাও পাতা হয়।

Royal Bengal Tiger : বাঘ দেখে মূর্ছা যায় ছাত্রী, দক্ষিণ রায়ের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীর
বাঘের কোন হদিশ না মেলায় ড্রোন ওড়ানো হয়। শেষে নদীর ওপারের জঙ্গল থেকে বাঘের গর্জন শুনে নিশ্চিত হন বনকর্মীরা। এরপরেই নাইলন ফেন্সিংয়ের কাজ শুরু হয়। তবু আতঙ্ক কাটেনি গ্রামের। গ্রামের এক বধূ সুমিত্রা দাস বলেন, ‘বুধবার থেকে আমরা আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছি। কখন যে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে এই আতঙ্কে দিন কাটছে আমাদের। বাড়ির বাইরে বের হতে পারছি না।’

আর এক বাসিন্দা সুবল মাইতি বলেন, ‘আগে কখনও এই জঙ্গলে বাঘ আসেনি। এই প্রথমবার। বাঘ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এলে কেমন ভয় ধরে আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে। কেউ নদীতে মাছ ধরতে যেতে পারছে না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *