এদিন কৃষি দপ্তর জানিয়ে দেয়, পছন্দের সারই বিক্রি করতে হবে চাষিদের, অন্য সার গছিয়ে দেওয়া যাবে না। সার বিক্রির সময়ে পয়েন্ট অফ সেলস (পিওএস) মেশিনের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। সার বিক্রির হিসেব রাখতে হবে ডিজিটাল মাধ্যমে। চাষিদের বিল দিতে হবে। ক্রেতার আধারকার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। এই বিষয়ে কোনও সার বিক্রেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে কঠোর পদক্ষেপ করবে কৃষি দপ্তর।
সামনেই আলুচাষের মরশুম। জমি প্রস্তুত ও বীজ বোনার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সময়ে সারের চাহিদা বাড়ে বিভিন্ন ব্লকে। পূর্ব বর্ধমানে আলুচাষ হয় মূলত জামালপুর, কালনা-১ ও ২, মেমারি-১ ও ২, বর্ধমান-১ ও ২, পূর্বস্থলী ১ ও ২, কাটোয়া-১ ও ২, রায়না-১ ও ২ ব্লকে। এই সব জায়গায় এনপিকে সারের চাহিদা থাকে সব থেকে বেশি। কিন্তু এই সার কিনতে গেলে চাষিদের ঠকানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
জামালপুরের আলুচাষি উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, ‘এই সার কিনতে গেলে বস্তা পিছু আড়াইশো টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছিল। আমরা বাধ্য হয়ে অভিযোগ জানাই ব্লকে।’ বস্তা পিছু সরকারি দাম ১৪৭০ টাকা হলেও এই সার কিনতে গেলে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হচ্ছে চাষিদের। আরও অভিযোগ, এনপিকে-র সঙ্গে অন্য সার কিনতে চাষিদের বাধ্য করা হচ্ছিল। ফলে সারের খরচ বেশি পড়ছিল। এদিন সারের কালোবাজারি রুখতে জামালপুর ব্লক কৃষি আধিকারিক সঞ্জিবুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালে। সঞ্জিবুল বলেন, ‘চাষিদের অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন অভিযান চালানো হয়েছে।’