একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি, ‘মোদীজি বলেছেন, ভাই-ভাতিজাবাদ খতম করবেন, উৎখাত করবেন। এবার শুধু সময়ের অপেক্ষা। ইতিমধ্যেই সপরিবারে নিমন্ত্রণ পৌঁছে গিয়েছে। সবংশে জেলে যাবেন। পার্থ-বালু জেলে গিয়েছে। এবার আসল চোরও জেলে যাবে। আমরা সবাই অপেক্ষা করে আছি। শিক্ষা দফতর জেলে, খাদ্য দফতর জেলে, স্বাস্থ্যও যাবে জেলে। কোনও ছাড় দেবেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী।’
এখানেই শেষ নয়, নাম না করে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারকে আক্রমণ। শুভেন্দু বলেন, ‘একটি টাকাও ছাড় দেবেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভাই-ভাতিজা সবাই খতম হবে। এই ভাতিজা কে? কেউ আদর করে কয়লা বলে। কেউ আবার বলে তোলাবাজ। এই আলালের দুলালের এবার দিন শেষ। সময় কড়া নাড়ছে দরজায়। সব জেলে যাবে আসল চোর, চোরেদের রানিকে আমরা উৎখাত করব।’
কাঁথির সাংসদ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারীর সম্প্রতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শনিবার সেই প্রশ্ন নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় পড়ে যায়।শনিবারের পাশাপাশি রবিবার সোচ্চার হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে কাঁথিতে বিজয়া সম্মিলনী আয়োজন করা হয়। সেখানেই বিব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘শিশির অধিকারী হিমালয় পর্বত। তাকে মমতার নেড়িকে দিয়ে কিছু করতে পারবে না। গত তিন বছর ধরে ঘেউ ঘেউ করে চলেছে নেড়ি।কিছু করতে পারেনি আর পারবেও না। আমার বাড়ির সামনে অনেক কিছু করেছিলো।আমার বিরুদ্ধে ৩৫ টা মিথ্যা মামলা করেও আমাকে থামাতে পারেনি। আগামীতেও পারবে না। চুরি মিথ্যা মামলার মূলে রয়েছে মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওঁর পরিণতি কি হয় তা তারিখ আর সময় দেখতে থাকুন।’
পাশাপাশি এদিন আগামী ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দেন। জানুয়ারি পর্যন্ত দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করে দেন। নরেন্দ্র মোদির হাত শক্ত করতে কাঁথি লোকসভা থেকে বিজেপির প্রার্থীকে ৩ লক্ষের বেশি ভোটে জয়লাভ করানো আহ্বান জানান। কাঁথি লোকসভায় আমরা ৫০ হাজারে এগিয়ে রয়েছি। তা ৬ গুণে নিয়ে যেতে হবে। কিভাবে তা করতে হবে তা আমার সব প্রস্তুত। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী শিক্ষা,খাদ্যের মতো স্বাস্থ্য মন্ত্রীও শীঘ্রই জেলে যাওয়ার কথা বলেন।