রাত বাড়লেই শব্দ বাড়ছে
জানা গিয়েছে, পোলবার রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুয়াগাছি গ্রামের বাসিন্দা উত্তম বিশ্বাসের বাড়িতে মহালয়ার পরের দিন থেকে শোনা যাচ্ছে অদ্ভূত ধরণের শব্দ। কেউ থান ইট ফেলে দিলে বা ছুঁড়ে মারলে যেমন শব্দ হয়, ঠিক তেমনই শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি বাড়ির বাসিন্দাদের। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত যত গভীর হচ্ছে, ততই বাড়তে থাকছে শব্দ।
কে বা কারা এই ধরণের শব্দ করছে, কিংবা কোথা থেকে এই শব্দ আসছে, তা অনেক খুঁজেও বের করতে পারেননি বাড়ির বাসিন্দারা। প্রতিবেশিরাও শব্দ শুনতে পেয়েছেন। তবে শব্দের কোনও উৎস তাঁরাও খুঁজে পাননি। এরপরেই চেপে বসে ভূতের আতঙ্ক। উড়ে যায় রাতের ঘুম। কোনও ভূত প্রেত ভয় দেখাতে এমন শব্দ করছে কি না, এখন সেই প্রশ্নই তাড়া করে বেড়াচ্ছে পরিবারের সদস্যদের। আতঙ্কে ওঝা গুণিনদের সঙ্গেও কথা বলেন বাড়ির বাসিন্দারা।
খবর পায় বিজ্ঞান মঞ্চ
এরই মাঝে হুগলির ব্যাণ্ডেল বাজারে মুরগি বিক্রি করতে যান ভাটুয়া গ্রামের এক ব্যাক্তি। তাঁর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য সন্দীপ সিংহের সাক্ষাৎ হয়। ঘটনা শুনে বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধিরা গত শুক্রবার ভাটুয়া গ্রামে যান। কথা বলেন উত্তম বিশ্বাসের পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে। উত্তম ও তার স্ত্রী পূর্ণিমা জানান, দেওয়ালে জোরে ইট ঠুকলে যেমন শব্দ হয়, ঠিক তেমন শব্দ হচ্ছে। এমনকী সেই শব্দের রেশ অনেকক্ষণ ধরে থাকছেও। ছাদে গিয়ে ও বাড়ির চারিদিকে ঘুরেও কাউকে দেখা যায়নি। রাত হলেই শব্দ বাড়ে। তাই বাড়ির সকলেই ভয়ে রয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন, কোনও অশরীরী হয়ত ওই বাড়িতে ভর করেছে।
যদিও বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, ভূত প্রেত নয়, কেউ বা কারা কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে হয়ত এমন করছে। বিজ্ঞান মঞ্চ যাবে, এই খবর পেয়েই শব্দ কিছুটা কমেছে। তবে এখনও গভীর রাতে হঠাৎ করে শব্দে ঘুম ভাঙছে পরিবারের সদস্যদের। এই প্রসঙ্গে সন্দীপ সিংহ বলেন, ‘মানুষের কুসংস্কার দূর করতে, আবারও ওই বাড়িতে, ওই গ্রামে যাবে বিজ্ঞান মঞ্চ।’