কী জানালেন অধীর?
এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘কোথায় কে লড়বে আমরা জানি না, আমরা আমাদের মতো লড়ছি। তবে, সিপিএমের সঙ্গে আমরা আগে একজোট হয়ে লড়েছি। প্রয়োজন হলে, আগামী দিনেও একজোট হয়ে লড়ব।’ তবে তাঁর মতে, ‘তৃণমূল আমাদের কাছে অত্যাচারীর দল। তৃণমূলের কাছে আমরা অত্যাচারিত। তাই তৃণমূলের সঙ্গে আমরা কোনও সমঝোতা করতে পারব না।’
আসন নিয়ে সমঝোতা?
আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে এই তিন বিরোধী দলের মধ্যে আসন সমঝোতা হবে কিনা তা নিয়ে স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরেনি কোনও দলই। মনে করা হচ্ছে, আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বরের সিপিএমের পলিটব্যুরো বৈঠকে। এরপর ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর রাজ্য কমিটির বৈঠক আছে, সেখানেই এই আসন সমঝোতা নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ হতে পারে। অন্যদিকে, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে ইতিমধ্যে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে সিপিএমের কাছে আসন সমঝোতা হওয়ার ব্যাপারেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও, বামফ্রন্টের তরফে এই আসনটি ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী এদিন বলেন, ‘ জানি না, কোথায় আইএসএফ, কোথায় সিপিএম লড়বে? আমরা আমাদের মধ্যে লড়ছি।’ তবে সিপিএমের পাশাপশি, আইএসফের সঙ্গেও তাঁদের সমঝোতা হবে কিনা এ ব্যাপারে কোনও ইঙ্গিত দেননি বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ।
পাশাপাশি, সংসদে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিতর্কেও এদিন মুখ খোলেন অধীর চৌধুরী। মহুয়া মৈত্র বেমিয়ম করে থাকতে পারে, তবে এথিক্স কমিটিকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করছে বলে জানান তিনি। এছাড়া, মদ্যপ্রদেশ, ছত্তইশগড়, তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করবে করগ্রেস। সোমবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে এমনই দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। অধীরবাবু বলেন, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গায় যারা মনে করত কংগ্রেস হারিয়ে গিয়েছে আজ তারাই কংগ্রেসের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।