ঠিক কী ঘটনা?
সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ জমিয়ে মনিপালের কস্তুরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানোর নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। দমদম ফকির ঘোষ রোডের বাসিন্দা অনীশা বসুর মা জয়শ্রী বসুর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ জমিয়ে সাজানো হয় প্রতারাণার ফাঁদ। এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তির।
জানা গিয়েছে. ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্ত যুবক জানতে পারে যে তাঁর মেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। সব খবর পাওয়ার পর অভিনব পদ্ধতিতে প্রতারণা করে ওই যুবক। প্রতারিত মহিলাকে অভিযুক্ত যুবক বলে, কর্ণাটকের মন্ত্রী এইচকে পাটিলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। সেই সূত্রে অনীশাকে কস্তুরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়ে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই নাগেরবাজার থানায় পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত যুবক সুপর্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে আগেই। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় নাগেরবাজার পুলিশ।
লাখ লাখ টাকা প্রতারণা
জয়শ্রী বসু নামে প্রতারিত মহিলা বলেন, ‘ফেসবুকের মাধ্যমে ওই যুবকের সঙ্গে আমার আলাপ হয়। আমি এখন নিঃস্ব। আমার থেকে সাত লাখ টাকারও বেশি নিয়েছে। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই টাকা দিয়েছিলাম। আমার মেয়েকে ডাক্তারি কোর্সে ভর্তি দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পরে বুঝতে পারি প্রতারণার ফাঁদে পড়েছি। টাকা ফেরত চাইলে মেয়েকে অপহরণ করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আমার এক বন্ধুর সঙ্গেও এই কাজ করেছে বলে শুনলাম। আমরা চাই পুলিশ আমাদের টাকা উদ্ধার করে দিক।’
তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রতারণা মামলায় এই যুবককে দমদম থানার পুলিশ কয়েকদিন আগে গ্রেফতার করেছিল বলে জানা গিয়েছে। চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা অভিযোগ উঠেছিল যুবকের বিরুদ্ধে। তাকে এখন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসবাদ করতে চায় নাগেরবাজার থানা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, শুধু ভিন রাজ্যই নয় আমাদের রাজ্যেরও একাধিক নেতামন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তুলে এরকম চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা চক্র চালাত। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে কল্যাণী AIIMS-এ চাকরি দেওয়ার নামেও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে এই যুবকের বিরুদ্ধে।