কী জানা যাচ্ছে?
পাণ্ডবেশ্বরের নবগ্রাম এলাকার বাড়িগুলিতে দেখা দিচ্ছে ফাটল। অনবরত ইসিএল-এর সোনপুর বাজারির খোলা মুখ খনির বিস্ফোরণের কারণেই এই ফাটল হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। অনবরত অবৈজ্ঞানিকভাবে কয়লা উত্তোলনের জন্য বিস্ফোরণ করা হচ্ছে। যা তীব্রতা অতিমাত্রায় বেশি সে কারণেই ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠছে গ্রামের বাড়িঘর।
কী জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা?
গ্রামের অদূরে রয়েছে ইসিএল-এর সোনপুর বাজারি খোলা মুখ খনি। শীঘ্রই পুনর্বাসন এবং জমির সরলীকরণ নীতি অবলম্বন করতে হবে ইসিএল কর্তৃপক্ষকে। অন্যথা আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন গ্রামবাসীরা বলে জানিয়েছেন।
প্রতিবাদে নামলেন গ্রামবাসীরা?
রবিবার বিকালে একটা সভা হয়ে গেল গ্রামবাসীদের নিয়ে নবগ্রাম এলাকাতেই। গ্রামের বাসিন্দা প্রফুল্ল চট্টোপাধ্যায়, মৃত্যুঞ্জয় বক্সী ও রাবিয়া বেগম রা জানান, এলাকার প্রায় ৭০০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে ইসিএল কিন্তু গ্রামের উন্নয়নের দিকে নজর নেই কর্তৃপক্ষের। রাস্তায় নেই পথ বাতির সুবিধা, রাস্তা ভগ্নদশা এছাড়াও গ্রামের বেকার সমস্যা সমাধানের অগ্রণী ভূমিকা নিতে নিতে হবে।
পাণ্ডবেশ্বর একাধিক এলাকায় চালু করা হয় নতুন খোলা মুখ খনির। নতুন এই খোলা মুখ খনি কারণে এলাকায় নতুন অনেক কর্মসংস্থান হবে, আশা করেছিলেন অনেকেই। নতুন খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের ফলে ইসিএলের লাভের অংশ বাড়বে, পাশাপাশি অনেকের কর্ম সংস্থান হবে এমনটাই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু উল্টে বিপদ বাড়ছে বলে মনে করছেন এলাকার গ্রামবাসীরা।
পাণ্ডবেশ্বর অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে নতুন এই খোলা মুখ খনির হাত ধরে বলে ভেবেছিলেন অনেকেই। তবে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, খোলা মুখ খনির বিস্ফোরণের কারণে এলাকায় অনেক বাড়িতে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এলাকাবাসীর পুনর্বাসনের ব্যাপারে কেউই কিছু ভাবছেন না। সেই কারণেই তাঁদের আন্দোলনের পথে নামতে হল। কিছুদিনের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান না হলে আরও বড় আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তাঁরা বলে জানিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে ইসিএল কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি।