বাঁশের মাচায় লতানে গাছ থেকে ঝুলে থাকা বরবটি আর করলা দেখতে অনেকেই আসছেন সুকরামের বাগানে। নিয়মিত ব্যবধানে ফসল তুলে বাজারে পাঠাচ্ছেন তিনি। আড়াই থেকে তিনফুটের বরবটি হাতে নিয়ে আলাদা একটা তৃপ্তি পাচ্ছেন বলে জানান প্রবীণ এই কৃষক।
বলেন, ‘গোবর সার দিয়ে এমন ফসল ফলিয়েছি। কোনও রাসায়নিক সার দিইনি। ভালো বীজ আর যত্ন, এই দুইয়ে এত ভালো ফলন হয়েছে।’ তবে আক্ষেপ একটা রয়েছে। সেচের কোনও ব্যবস্থা নেই এলাকায়। থাকলে আরও ফলন করতে পারতেন বলে জানান সুকরাম। তাঁর আরও দাবি, রাসায়নিক সার প্রয়োগ না করায় বরবটি, করলার স্বাদ বেড়েছে। কমেছে উত্পাদন খরচও।
সুকরামের উৎপাদিত ফসল বস্তায় তোড়াঙ্গ স্টেশন হয়ে চলে যাচ্ছে জামশেদপুর, রাঁচির মতো বড় শহরগুলিতে। এতে লাভও পাচ্ছেন তিনি। গ্রামের অন্য কৃষকরাও তাঁর এই সাফল্যে উত্সাহিত। স্থানীয় কৃষক শচীন কুইরি, জগন্নাথ মাহাতোরা জানান, জৈব পদ্ধতিতে চাষ দেখে তাঁরাও নিজেদের জমিতে এমন করতে চাইছেন।
এজন্য সুকরামবাবুর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাঁরা। ঝালদার সহকারী কৃষি অধিকর্তা স্বরূপ পান্ডা বলেন, ‘জৈব পদ্ধতিতে উত্পাদিত ফসলের আলাদা মূল্য রয়েছে। বরবটি, করলার দাম এমনিতেই ভালো। জৈব পদ্ধতিতে চাষের ক্ষেত্রে কৃষি দপ্তর সবরকম সহযোগিতা করবে।’