কেন্দ্রীয় সংস্থাকে হাতিয়ার করে দুর্নীতিতে শাসক দলের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে জড়িয়ে, মন্ত্রী বিধায়কদেরই নিশানা করছে বিজেপি বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তাদের দাবি, ‘বেছে বেছে শাসক দলের বিরুদ্ধেই চলছে তদন্ত। এই প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, তদন্তে তো আমরা আপত্তি করিনি। আমরা তো বলছি অভিযোগ উঠলে তদন্ত হোক। কিন্তু তদন্তের নামে বেছে বেছে শাসককে যেন টার্গেট না করা হয়। তদন্তের মুখোমুখি হতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তা যেন শুধু শুধু দীর্ঘায়িত না হয়।’
এই প্রসঙ্গেই সেচমন্ত্রীর মুখে উঠে আসে সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির কথা উঠে আসে এবং সেই সূত্রে তাপস পাল প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘সারদা কেসের তদন্ত কত বছর ধরে চলছে দেখুন। আমাদের প্রাক্তন সাংসদ তাপস পাল মারা গেলেন। তবু তদন্তের এই দীর্ঘসূত্রিতায় তিনি জেনে যেতেই পারলেন না তাঁর দোষটা কী ছিল বা তিনি কেন এই মামলায় যুক্ত। একইভাবে সুলতান আহমেদও জানতে পারলেন না তিনি নির্দোষ কিনা!’ একইসঙ্গে তিনি দোষারোপ করেন মিডিয়া ট্রায়ালকেও। পার্থ ভৌমিকের অভিযোগ, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে মিডিয়ার একাংশকে ব্যবহার করে শাসকদলের সদস্যদের চরিত্রকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে।’
দুর্নীতির আবহে মন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে তর্ক বিতর্কের মাঝে, কার কত আয় ও কার কত সম্পত্তি সেই সন্ধানে দুই শিবিরের বাগযুদ্ধ ও কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি অব্যাহত। শুভেন্দু অধিকারীর আয়কর রিটার্নের নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ। পালটা কুণাল ঘোষকে ‘মমতার পোষা নেড়ি’ বলে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। রেশন দুর্নীতিতে ঝুড়ি ঝুড়ি অভিযোগের মাঝে বিজেপি নেতাদের নাম নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল প্রশ্ন তুলল কেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বাকি অভিযুক্ত বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।