জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে এক সংস্থায় অভিযান চালাতে গিয়ে তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট রবিবার অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডে নামে এক সংস্থায় অভিযান চালায়। সেই সংস্থার দুই ডিরেক্টর দীপেশ চন্দক ও হিতেশ চন্দক বিহারের পশু খাদ্য দুর্নীতি মামলার প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার হন। ১৯৯৬ সালে CBI-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁরা। পরে মামলা কোর্টে উঠলে তারা রাজসাক্ষী হয়ে যান এবং তাঁরা ছাড়া পেয়ে যান।
রেশন দুর্নীতির সঙ্গে পশু খাদ্য কেলেঙ্কারির অভিযুক্তদের যোগ সামনে আসতেই চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের চালকল গম কলের মতো খাদ্য দফতরের প্যানেলে নাম রয়েছে অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের। অর্থাৎ যে পদ্ধতিতে বাকিবুরের কল থেকে রেশনের চাল আটা ভাঙানোর পর খোলা বাজারে বিক্রি হতে যেত, সেই পথে অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডেও রেশনের চাল এনে, গম ভাঙিয়ে তা প্যাকেটবন্দি করে ব্র্যান্ডিংয়ের পর বাজারে বিক্রি হত বলে অভিযোগ।
ইডি সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় রেশন বন্টনকারী সংস্থা এফসিআইয়ের গোডাউন থেকে চাল ও গম পাচার হত অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের আটাকলে। বাকিবুর মডেলেই অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের মাধ্যমেও রেশন দুর্নীতি চলত বলে অভিযোগ। পশু খাদ্য কেলেঙ্কারির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে রেশন দুর্নীতির যোগ সামনে আসতেই বিশেষজ্ঞদের দাবি এই দুর্নীতির শিকড়ের খোঁজে কেঁচো নয় অ্যানাকোন্ডা বেরনোও আশ্চর্য নয়। রেশনের গম আটাকলে এলেই তার অধিকাংশ আটা ভাঙানোর পর ফেরত যেত না, চলে যেত খোলা বাজারে। এভাবে সরকারি টাকার জিনিস ব্যবহার করে চলত কোটি টাকার দুর্নীতি।