করুণাময়ী চারমাথার মোড়ে আন্ডারপাস তৈরির পরিকল্পনা দীর্ঘদিনের। সেন্ট্রাল পার্ক মেলা প্রাঙ্গনের নীচে তৈরি করা হবে এই আন্ডারপাস। এতে পথচারীরেদর রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা হবে। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে মাটির নিচে থাকা বিভিন্ন বস্তু সরানোর পরিকল্পনা হবে। তারপর কেএমডিএর তরফে বিস্তারিত প্রোজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করে তহবিল মঞ্জুরের জন্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে।
KMDA-র আধিকারিক এই নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘পথচারীদের কথা মাথায় রেখেই এই সাবওয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমরা আরও একটি বিষয় মাথায় রেখেছি। সেন্ট্রাল পার্কের মেলা প্রাঙ্গনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় এই এলাকায় প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। সাবওয়ে তৈরি হলে তাঁদেরও যাতায়াতে সুবিধা হবে।’
KMDA সূত্রে জানা গিয়ছে, এই আন্ডারপাসের একটি মুখ করুণাময়ী বাস টার্মিনাসের দিকে থাকবে। অন্য মুখটি বিদ্যাসাগর ভবনের দিকে থাকবে। সিঁড়ির পাশাপাশি পথচারীদের সুবিধার জন্য আন্ডারপাসে বন্দোবস্ত করা হবে চলমান সিঁড়িরও। কেএমডিএ-র আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সাবওয়ে তৈরির জন্য কতটা জায়গা লাগবে তা মাপজোপ করে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে রাস্তার উপর মেট্রোর পিলার থাকার কারণে কাজ করতে গিয়ে কোনও সমস্যা হতে পারে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে।
KMDA-র ওই আধিকারিক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে আরও বলেন, ‘WBSEDCL, বিধাননগর পুরসভা ও নব দিগন্ত উন্নয়ন পরিষদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। মাটির নীচে বিদ্যুতের তার, জল ও নিকাশির লাইন কোন কোন জায়গায় রয়েছে, কাজ শুরুর আগে তা খতিয়ে দেখা দরকার। রাস্তায় উপর থাকা মেট্রো রেলওয়ের পিলারও যাতে কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। তাও দেখা হবে।’
করুণাময়ী মোড় সল্টলেকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা। এখানে বেসরকারি অফিসের পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর সরকারি দফতরও। প্রত্যেক দিন অসংখ্য মানুষ কর্মসূত্রে এখানে আসেন। অফিস টাইমে এক প্রকার ঝুঁকি নিয়ে পথচারীদের রাস্তা পার হতে হয়। সেই কারণেই সাবওয়ে তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে KMDA-র তরফে। এখনও কবে কাজ শুরু হয় সেদিকে নজর থাকবে।