সম্পত্তির হিসেব দিলেন সৌমিত্র
সৌমিত্র বলেন, ‘২০১১ সালে ১৮ লাখ টাকার সম্পত্তির খতিয়ান দিয়েছিলাম, তখন বিধায়ক হিসেবে লড়েছিলাম। সেই সময় বিধায়কদের বেতন ছিল ৪৮ হাজার টাকা। আমি ৩ বছর ছিলাম। ২০১৪ সালে লোকসভার সাংসদ হয়েছি। বেতন পেয়েছি ১ লাখ টাকা করে মোট ৬০ লাখ টাক। ২০১৯ থেকে সাংসদ হয়েছি, শুধু বেতন পেয়েছি এখনও পর্যন্ত ৮৬ লাখ টাকা। তারপরে ৮ লাখ টাকা পেয়েছি আরও ৮ মাসের। বিধায়ক হিসেবে বেতন পেয়েছি ১৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আর পেয়েছি ২৫ লাখ টাকার ওপরে।’
সৌমিত্র খাঁ আরও বলেন, ‘আমার মা, ব্যবসা করছেন ১৯৯১ সাল থেকে, আয়কর দাতা। লোন নিয়েছেন, ব্যবসায় উত্থান পতন হয়েছে। আমার বাবা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় চাকরি করতেন। তিনি বেতন পেয়েছেন ও স্বেচ্ছাবসর নিয়েছিলেন। আমার দাদুর ফরেন লিকার অন শপ ছিল, আমার পৈতৃক সম্পত্তি। সেটা ৭০-৮০ বছরের মদের দোকান। আমার সম্পত্তি দুর্লভপুরে ২২ লাখ টাকার বিল্ডিং। বাবার ২০০২ সালের পর থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সম্পত্তি কিনেছেন ৩৮ লাখ টাকার। আমার মা সম্পত্ত কিনেছেন, বিষ্ণুপুরে ১২ লাখ টাকার এখটা ফ্ল্যাট। আর আমার আছে, পুরনো একটা স্কর্পিও গাড়ি, যার দাম ১০ লাখ টাকা, এখনও কিছু পেমেন্ট বাকি আছে। একটা জমি কিনেছিলাম ৩ লাখ টাকা দিয়ে, সেখানে ১২ লাখ টাকার একটা বাড়ি তৈরি হয়েছে। আমাদের সমস্ত সম্পত্তি হিসেব করলে দাঁড়ায় ৬০ লাখ টাকা। আর আমি বেতন পেয়েছিলাম ১ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকার ওপরে।’
এরপরেই শশী পাঁজাকে নিশানা করে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘অনেক মিথ্যা কেস দিয়েছিলেন, গত শনিবার দিন অনেক চেষ্টা করেছিলেন আমায় জেলে ঢোকানোর। সম্পত্তি কী পেয়েছেন? আমি ২০০২ সাল থেকে আয়কর দিই। তাহলে আপনারা কী করে ভাবেন যে সবাই চোর? পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রাজনীতিবিদকে চোর ভাববেন না।’ এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রামেশ্বর তেলি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সৌমিত্র খাঁ, জগদম্বিকা পাল, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও অধিকারী পরিবারের নাম উল্লেখ করে, তাঁদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শশী পাঁজা।