কী ভাবে শুরু কাউন্সেলিং?
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীদের কাউন্সেলিং শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সোমবার সকাল ১০টা থেকে সল্টলেকে এসএসসির নতুন ভবনে কাউন্সেলিং শুরু হয়। সব মিলিয়ে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ১৩০০০ এর কিছু বেশি। আজ থেকে আগামী ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে কাউন্সেলিং পর্ব। আদালতের নির্দেশ মেনে এখন আপাতত সুপারিশপত্র না দিতে পারলেও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কোন প্রার্থী কোন স্কুল বেছে নিয়েছেন তা উল্লেখ করে দেওয়া হবে এসএসসির তরফে। সঙ্গে দেওয়া হবে প্রার্থীদের সম্মতিপত্র।
কী ভাবে হচ্ছে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া?
কাউন্সেলিংয়ের প্রথমেই প্রার্থীদের নথি পরীক্ষা করাতে হবে। সেখানে ডিগ্রি থেকে ট্রেনিং, এমনকি জাতি শংসাপত্র পর্যন্ত যাচাই করবে এসএসসি। পাশাপাশি মেধাতালিকা অনুযায়ী প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হবে বলে জানানো হয়েছে।
স্বচ্ছতা আনতে পদক্ষেপ
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির জটে জর্জরিত রাজ্যের শিক্ষা দফতর। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর মধ্যেই আদালতের নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং হচ্ছে। কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া নিয়ে যাতে কোনও অভিযোগ না হয়, তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভবনের ভিতরে বেশ কয়েকটি স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। চাকরি প্রার্থীরা ওই ক্রিনে কে কোন স্কুল বেছেছেন তাও ডিসপ্লে করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
কোন পরীক্ষার নিয়োগ?
এসএসসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এরপর সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০১৫ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার পর ২০১৬ সালে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ২০১৯ সালে মেধাতালিকা প্রকাশ করাও হয়েছিল। কিন্তু এরপরেই মেধা তালিকা নিয়ে অভিযোগ ওঠায় মাঝপথেই নিয়োগ থামিয়ে দিতে হয়। অক্টোবর মাসেই উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং শুরু করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ কাউন্সেলিং শুরু করার জন্য নির্দেশ দেয় কমিশনকে। তবে আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া নিয়োগ করা যাবে না।