অভিষেক গড় বলে বাংলার রাজনৈতিক ময়দানে বিখ্যাত ডায়মন্ড হারবার। এই লোকসভা কেন্দ্র গত ১০ বছর ধরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দখলে। ২০১৪ সাল থেকে পর পর দুই টার্মে ডায়মন্ড হারবারের লোকসভা আসনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী দুবারই বিপুল ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হারিয়েছেন তৃণমূলের যুবরাজ।
২০১৯ সালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিকটতম প্রার্থী বিজেপির নীলাঞ্জন রায়কে ৩ লাখ ২০ হাজার ৫৯৪ ভোটে হারান। মোট ভোটের ৫৬.১৩ শতাংশ ভোট পান তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। রেকর্ড সংখ্যক এই ভোটে জয়ের পর ডায়মন্ড হারবার রীতিমতো ঢেকে যায় সবুজ আবিরে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী পান ৪ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৩। মোট ভোটের ৩৩.৩৯ আসে তাঁর ঝুলিতে সেবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সিপিআইএম-এর তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ডঃ ফুয়াদ হালিম। তাঁর খাতায় আসে মাত্র ৯৩ হাজার ৯৪১টি ভোট। যা মোট ভোটের ৬.৬৬ শতাংশ। এছাড়া কংগ্রেসের তরফ থেকে দাঁড় করানো হয়েছিল সৌম্য আইচ রায়কে। যদিও মাত্র ১৯ হাজার ৮২৮টি ভোট পেয়েছিলেন তিনি।
শুধু ২০১৯ নয়, লোকসভায় আত্মপ্রকাশেই এই কেন্দ্রে চমক দেখিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে ৪০.৭১ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। মোট প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৮ হাজার ৪৮১টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএম প্রার্থী আবুল হাসনত পান ৪ লাখ ৩৭ হাজার ১৮৭টি ভোট।
সাংসদ হিসেবে এই কেন্দ্রের দায়িত্বে আসার পর একাধিক সংস্কারমূলক ও উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনাকালে তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত ডায়মন্ড হারবার মডেলের সাফল্য দেখে পরে রাজ্য সরকারের তরফে গোটা রাজ্যে সেই প্রক্রিয়ায় চালু কথা ভাবা হয়েছিল।
মঙ্গলবার ৭ নভেম্বর সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে সমর্থকেরা সাজিয়ে তুলেছেন ডায়মন্ডহারবার। রাজনৈতিক উত্তাপের মাঝে ডায়মন্ড হারবারে এখন উৎসবের মেজাজ। নওশাদ বনাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই সত্যিই ২৪-এ দেখা যাবে কিনা ভবিষ্যতই বলবে। তবে শাসককে হারাতে বিরোধীদের জোট বাঁধার সাগরদিঘি মডেল এবার ডায়মন্ড হারবারে লাগু করার তত্ত্ব, ফের আলোচনা কেন্দ্রে অভিষেক গড়।