কী জানা যাচ্ছে?
আবারও খবরের শিরোনামে ভাঙড়ের বেতাজ বাদশা আরাবুল ইসলাম। সরকারি জমি দখল করে দলীয় কার্যালয় তৈরি করার অভিযোগ উঠল আরাবুল ইসলাম ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। বাসন্তী রাজ্য সড়ক লাগোয়া বামন ঘাটা বাজারের কাছেই সেচ দফতরের একটি জমি রয়েছে। সেই জায়গা দখল করে পার্টি অফিস তৈরি করছেন আরাবুল ও তাঁর সাগরেদরা বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সেখানে কংক্রিটের কলম পিলার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
স্থানীয়রা কী বলছেন?
এভাবে সরকারি জায়গা জবরদখল করে পার্টি অফিস তৈরি করায় নিন্দা করছেন বিরোধীরাও। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই বামন ঘাটা বাজারেই তৃণমূলের সাতটি পার্টি অফিস আছে। তারপরেও নতুন পার্টি অফিসের কি দরকার এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
ISF কী বলছে?
ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, _আমি খবর নিয়ে জেনেছি সিন্ডিকেট রাজ চালানোর জন্য আরাবুল ইসলাম ও তাঁর গুন্ডাবাহিনীর বসার জন্য ওই পার্টি অফিস তৈরি করা হচ্ছে। বামন ঘাটার প্রধান ও উপপ্রধান এর সঙ্গে জড়িত আছে।’ বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। নওশাদ বলেন, ‘আমি পুলিশকে অনুরোধ করব এই অনৈতিক কাজ বন্ধ করার জন্য। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হব আমরা।’ ISF এর সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই বক্তব্য স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের।
আরাবুল কী বলছেন?
সরকারি জমিতে পার্টি অফিস তৈরির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন আরাবুল ইসলাম। তাঁর কথায়, যাতে এক জায়গায় সবাই বসা যায়, তাই ওই অফিস তৈরি হচ্ছে। তাঁর দাবি, ওখানে আগে থেকেই একটা তৃণমূলের পার্টি অফিস ছিল। সেটা ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে পার্টি অফিস তৈরি করা হচ্ছে। যদি কোনওদিন সেচ দফতরের ওই জায়গা দরকার হয় আমরা পার্টি অফিস ভেঙে দেব।
তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এখানেই অবৈধ নির্মাণ কেন করছেন আরাবুল ইসলাম? তার খাস তালুক নতুনহাট হাতিশালা ছেড়ে কেন তিনি আসতে চাইছেন বামনঘাটাতে? স্থানীয় ISF এক কর্মীর কথায়, ‘ পার্টি অফিস বানিয়ে এলাকা দখলের চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভীতি প্রদর্শন করে আগামী দিনে এই এলাকায় কর্তৃত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এর আমরা প্রতিবাদ করব।’