এই সময়, আসানসোল: মার্কেট কমপ্লেক্সের পর এবার ম্যারেজ হল। বৈধ প্ল্যান ছাড়াই নির্মাণ করায় বেআইনি ম্যারেজ হলের ঘর ও শেড সমেত একাংশ ভাঙল পুরসভা। সপ্তাহ শুরুর প্রথম দিন সোমবার সকালের এই ঘটনাকে ঘিরে শহরের এসবি গড়াই রোডের ইসমাইলের বীর রামমোহন ব্যানার্জি রোডে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
হিরাপুর থানার পুলিশের উপস্থিতিতে এদিন ঘটনাস্থলে ছিলেন পুরসভার দুই এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আরকে শ্রীবাস্তব ও অচিন্ত্য অধিকারী, পুর আইনজীবী সুদীপ্ত ঘটক-সহ পুরসভার অন্য আধিকারিক ও কর্মীরা। যদিও এদিন বিকেলে ম্যারেজ হলের মালিক সুরেশ রাম ও পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে এদিনের মতো ভাঙার কাজ বন্ধ রাখা হয়।
হিরাপুর থানার পুলিশের উপস্থিতিতে এদিন ঘটনাস্থলে ছিলেন পুরসভার দুই এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আরকে শ্রীবাস্তব ও অচিন্ত্য অধিকারী, পুর আইনজীবী সুদীপ্ত ঘটক-সহ পুরসভার অন্য আধিকারিক ও কর্মীরা। যদিও এদিন বিকেলে ম্যারেজ হলের মালিক সুরেশ রাম ও পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে এদিনের মতো ভাঙার কাজ বন্ধ রাখা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পুরসভায় মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে বলা হয়েছে। পুর আইনজীবী সুদীপ্ত ঘটক বলেন, ‘জরিমানা বাবদ টাকা জমা না পড়লে ফের ভাঙার কাজ শুরু হবে।’ জানা গিয়েছে, এই ম্যারেজ হলে ৩২৭.৯ বর্গফুট এলাকা কোনও অনুমতি ছাড়াই নির্মিত হয়েছে। গোটা বিষয়টি অভিযোগ আকারে আসানসোল পুরসভার কাছে জমা পড়ে। তদন্ত শুরু করে ইঞ্জিনিয়ারিং দফতর।
অভিযোগের সত্যতা সামনে এলে শেষ পর্যন্ত গত ১০ জুলাই এই নির্মাণকে বেআইনি বলে নোটিস দেওয়া হয়। ম্যারেজ হলের মালিককে এই নির্মাণের জন্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু তিনি সেই জরিমানা মেটানোর ব্যাপারে কোনও আগ্রহ না দেখালে গত ২ নভেম্বর অবৈধ নির্মাণ ভাঙার নোটিস পাঠানো হয়। সেই মতো সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে এলাকায় পৌঁছন পুর আধিকারিকরা।