Dakshin Dinajpur News : রোগীদের মুশকিল আসান! হরিরামপুর হাসপাতালে চালু জরুরি বিভাগ-এক্সরে ইউনিট – dakshin dinajpur harirampur hospital started x ray medical facilities good news


দূরবর্তী স্থানে যেতে হবে না রোগীদের। এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় হরিরামপুর হাসপাতালে চালু করা হল এক্স রে পরিষেবা ও জরুরি বিভাগ। এক্স রে পরিষেবা চালু করার ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নিলেন রাজ্যের ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র।

কী জানা যাচ্ছে?

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর হাসপাতালে কিছু পরিষেবা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মানুষের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য রোগীদের দূরবর্তী স্থানে গিয়ে সমস্যা মেটাতে হতো। সেই সমস্যার দূরীকরণে ব্যবস্থা নিলেন ক্রেতাসুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। তাঁর উদ্যোগে, হাসপাতালে চালু করা হল এক্স রে পরিষেবা।

নতুন পরিষেবার উদ্বোধন

সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর হাসপাতালে এক্স রে পরিষেবা এবং জরুরি বিভাগ চালু করা হয়। নতুন দুটি বিভাগের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। মোট ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এই হাসপাতালে এক্স রে মেশিন বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের এই হাসপাতাল হঠাৎ পরিদর্শনে আসেন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। হাসপাতালের পরিষেবা দেখে তিনি যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হন। এমনকি, রাতে হাসপাতালে মাত্র একজন চিকিৎসক থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

হাসপাতালে অন্যান্য কিছু পরিষেবার পাশপাশি, এক্স রে পরিষেবা চালু করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে তাঁকে জানানো হয়। এরপরেই হাসপাতালে জরুরি বিভাগ এবং এক্স রে পরিষেবা চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগী হন বিধায়ক। উদ্বোধনের সময় বিধায়ক জানান, এই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হওয়ার দরুণ হাসপাতালের উন্নয়নের বিষয়টি তাঁর দেখা উচিত। হাসপাতালে রোগীদের প্যাথলজিক্যাল কোনও পরীক্ষা করার প্রয়োজন হলে অনেক দূরে গিয়ে বাইরে কোনও সেন্টারে অর্থের বিনিময়ে করতে হতো। সেই কারণে, হাসপাতালে বিনামূল্যে এই পরিষেবা চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগ নিলেন তিনি।

Caesar Operation : মেদিনীপুরবাসীর জন্য সুখবর! বেলদা হাসপাতালে চালু হচ্ছে সিজার অপারেশন
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসে বৃষ্টিতে হরিরামপুর হাসপাতালের পরিষেবা চূড়ান্ত ব্যাহত হয়। টানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ে হাসপাতাল। হাসপাতাল থেকে ১ কিমি দূরে চালু করতে হয় আউটডোর। জলের তোড়ে ভেসে যায় ওষুধপত্র। কিছু রোগীকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিছু রোগীকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *