কী ঘটনা?
দিঘার ভাগীব্রহ্মপুর থেকে উদ্ধার হয়েছে পূর্ণবয়স্ক চারটি চন্দ্রবোড়া সাপ। দিঘা থানার অন্তর্গত এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিষধর ৪ টি পূর্ণবয়স্ক সাপগুলি। এই ঘটনায় ভাগীব্রহ্মপুর এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বন দফতরের কর্মীরা সাপগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে।
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাগীব্রহ্মপুরের বাসিন্দা তপন দাসের বাড়ির কাঠের স্তূপের মধ্যে থেকে হঠাৎ ফোঁস ফোঁস শব্দ শোনা যাচ্ছিল। দাস পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে যান। পরে পরিবারের তরফে খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিতি হন দিঘা বন দফতরের কর্মীরা। তাঁরা উদ্ধার করে সাপগুলিকে নিয়ে যান।
শীতের শুরুতে বিষধর সাপের দেখা
বন দফতর সূত্রে খবর, শীতের শুরুতে মাঝেমধ্যেই বাইরে বের হয় এই ধরনের সাপগুলির। চন্দ্রবোড়া খুবই বিষাক্ত প্রজাতির সাপ। এই সাপ কামড়ানোর পর উপযুক্ত চিকিৎসা না হলে মানুষের মৃত্যু অবধি হতে পারে। খবর পেয়ে বন দফতর সাপগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর উপযুক্ত জায়গায় প্রাকৃতিক পরিবেশে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। এমনটাই জানা গিয়েছে বন দফতর সূত্রে।
কী বলছে বন দফতর?
বন দফতরের দিঘা বিট অফিসার প্রশান্ত সাধুখাঁ বলেন, ‘শীত পড়ছে, সেই কারণে চন্দ্রবোড়া সাপের প্রকোপ বেড়ে গিয়ছে। এই সময় চন্দ্রবোড়া সাপ বের হয়। ঠান্ডা পড়ছে, রোদে পোহানোর জন্য ওরা এই সময় বের হয়। দিঘার ভাগীব্রহ্মপুর থেকে পূর্ণবয়স্ক ৪টি সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা কয়েকদিনের পর্যবেক্ষণে রাখব। কোনও ক্ষত রয়েছে কি না, তা দেখব। তারপর সাপগুলিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ তবে সাপগুলিকে মেরে না ফেলে বন দফতরে খবর দেওয়ার বিষয়টি প্রশংসা করেছেন অনেকেই।
দিঘা বিচে নয়া আকর্ষণ!
অন্যদিকে শীতের মরশুম শুরু হতেই দিঘায় পরিযায়ী পাখিদের আগমন। প্রত্যেক বছরই নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরের শুরু থেকে পরিযায়ী পাখিদের আসা শুরু হয়ে যায়। সেই কারণে মরশুম শুরু হওয়ার পর সেজে উঠছে দিঘার পাখি দেখার উদ্যান।