কী জানা যাচ্ছে?
উল্লেখ্য, কুন্তল ঘোষের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি অভিযানের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছে কুন্তল ঘোষ। তবে কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে ফের এদিন তল্লাশি চালাতে যান ED আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সের ED দফতর থেকে ED আধিকারিকরা পৌঁছয় কুন্তল ঘোষের রাজারহাটের ফ্ল্যাটে।
কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে তল্লাশি
সিসি সেন্টার ২-এর উল্টোদিকে একটি অভিজাত আবাসনে কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে ইডি। এই ফ্ল্যাট থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করে হয় কুন্তল ঘোষকে। আবাসন কতৃপক্ষ এর দাবি, কুন্তল ঘোষ ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। গ্রেফতারির পর ফ্ল্যাটের মালিক এখন নিজেই থাকেন।
কেন হানা দিল ইডি?
ED সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে, এই ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়েছে বলেই জানতে পেরেছেন ED তদন্তকারীরা। বর্তমানে ফ্ল্যাটে যিনি আছেন তিনি কি আসল মালিক? কবে কিনেছিলেন এই ফ্ল্যাট? কার কাছ থেকে কিনেছিলেন এবং কত টাকার বিনিময়ে ? কোনও ভাবে কুন্তল ঘোষের বেনামি সম্পত্তি সুকৌশলে বিক্রি করা হয়েছে! যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখতে চায় তদন্তকারীরা। সে কারণেই ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতি একাধিক বিষয় তদন্ত করছে ED।
কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁর ফ্ল্যাটে ২৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কুন্তল ঘোষকে। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার ব্যাপারে কুন্তলের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন ED আধিকারিকরা। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
ED সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারি কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডল নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের নেতা কুন্তলের যোগসাজশের কথা জানিয়েছেন ED আধিকারিকদের। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই কুন্তলের ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। কুন্তলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন
তাপস মণ্ডল। তাঁর দাবি ছিল, ৩২৫ জন শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা নিয়েছেন কুন্তল। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছেন কুন্তল বলে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ পান ED আধিকারিকরা।