কী জানা যাচ্ছে?
কয়েক লক্ষাধিক টাকা খরচ করে সংস্কার করা হয়েছিল বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত কপালকুণ্ডলা মন্দির। ফের কয়েক বছর যেতে না যেতেই ভগ্নদশা মন্দিরের। বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতিবিজড়িত কাঁথি দুই ব্লকের কপালকুণ্ডলা মন্দির সংস্কার করে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। জানা যায়, প্রায় ৩৩ লাখ টাকা খরচ করে এই মন্দিরে সংস্কারের কাজ হয়েছিল।
পর্যটনে ক্ষতি?
কয়েক বছর যেতে না যেতেই ফের খুলে পড়ছে মন্দিরের চাঙড়। ভেঙে পড়েছে মন্দিরের দরজা। সংস্কারের পর বিগ্রহ না বসায় খালি মন্দিরই দর্শন করতেন আগত পর্যটকরা। কাছেই রয়েছে বাকিপুট সমুদ্র সৈকত, রয়েছে দারিয়াপুর বাতিস্তম্ভ পাশাপাশি রয়েছে পেটুয়াঘাট মৎস্য বন্দরও। সংস্কারের পর ফের ভগ্না দশা হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে সংস্কার করা নিয়েও।
স্থানীয়রা কী বলছেন?
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, হেরিটেজ এই মন্দিরে মূর্তি বসিয়ে পুজো শুরু হলে এলাকার গুরুত্ব বাড়ার পাশাপাশি পর্যটকদেরও আকর্ষণ বাড়বে। কিন্তু সংস্কারের পরও আজও মূর্তি বসেনি। তাছাড়া স্থানীয়দের অভিযোগ সংস্কার যে করা হয়েছিল তা শুধু নাম মাত্রই করা হয়েছিল। যেভাবে চাঙ্গর ও দরজা জানালা ভেঙ্গে পড়ছে তাতে সংস্কার করা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার মানুষজন।
ইতিহাস কী বলছে?
কথিত আছে, দরিয়াপুর এলাকায় প্রায় ১০০ বছর আগে কপালকুণ্ডলা নামে এক নারী ছিলেন। তাঁর হাত কেটে বলি দিচ্ছিলেন এক কাপালিক। সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে ওই নারীকে বাঁচান এক যুবক। নবকুমার এক যুবক কপালকুণ্ডলাকে উদ্ধার করেন। এরপর থেকেই কপালকুণ্ডলা মন্দিরে কালীপুজোর প্রচলন শুরু হয়।
উল্লেখ্য, কপালকুণ্ডলা মন্দির, পার্শ্ববর্তী পেটুয়াঘাট মৎস্যবন্দর ও স্থানীয় লাইট হাউসকে কেন্দ্র করে একটি সার্কিট ট্যুরিজম কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। গত বছরই ডিসেম্বর মাসে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন এই মর্মে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক এবং রাজ্য পর্যটন দফতরের সচিবকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। পর্যটন ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি, ওই অঞ্চলে আর কী সংযোজন করা যায়, সে ব্যাপারেও পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। কিন্তু কোনও কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি আজও। যার জেরে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।