প্রতারিত ওই মহিলার নাম আল্পনা ঘোষ। তাঁর বাড়ি দুর্গানগর রবীন্দ্র সরণি চতুর্থ লেনে। জরায়ুর সমস্যা নিয়ে গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে আগরপাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তিনি যান। চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করার পর জরায়ুতে টিউমারের কথা বলে অস্ত্রোপচার করানোর প্রস্তাব দেন।
আল্পনার অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় হাসপাতালের দুই কর্মচারী সঞ্জয় দাস ও মৌ দাসের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাঁরা তাঁকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে অস্ত্রোপচার করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু তাঁদের শর্ত ছিল, অস্ত্রোপচারের সময় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সঙ্গে কুড়ি হাজার টাকা জমা করতে হবে। পরে হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথীর টাকা পেলে জমা দেওয়া ওই টাকা এবং স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরত দিয়ে দেবে।
আল্পনা তাতে রাজি হয়ে যান এবং ২৯ জুলাই তিনি বেসরকারি ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচারের ঠিক আগে কুড়ি হাজার টাকা জমা করেন তিনি। সুস্থ হয়ে বাড়িও ফেরেন। তিন মাসের মধ্যে জমা করা ওই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও সেই টাকা তাঁকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, গত শনিবার তিনি হাসপাতালে গেলে শুধু স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটি তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়। টাকার বিষয়ে যে চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করেছেন তাঁর সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়। আল্পনা বলেন, ‘ওই চিকিৎসককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এমনকী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও কোনও সাহায্য করেননি। এরপরই খড়দহ থানার দ্বারস্থ হই।’
তাঁর অভিযোগ, বেসরকারি ওই হাসপাতালে এ ভাবেই প্রকাশ্যে দালালরাজ চলছে। তাঁদের খপ্পরে পড়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।