Visva Bharati University : ‘ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা’, ফলক বিতর্কে পালটা বিবৃতি বিশ্বভারতীর


ফলক বিতর্কের মাঝেই এবার পালটা বিবৃতি দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। হেরিটেজ ঘোষণার পর বসানো ফলকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম উল্লেখ না থাকায় যাঁরা সরব হয়েছিলেন, তাঁদের কার্যত চাঁচাছোলা ভাষায় পালটা জবাব দিল বিশ্বভারতী। প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে সমালোচকদের বিরুদ্ধে ‘রাজনীতি করা’ ও ‘ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা’র অভিযোগ আনা হয়েছ।

কী লেখা হয়েছে বিবৃতিতে?

বিবৃতির প্রথমেই লেখা রয়েছে, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আজকের বিশ্বভারতীতে পণ্যে রূপান্তরিত হয়েছে। রাবীন্দ্রিক হয়ে গিয়েছে স্বার্থসিদ্ধির সোপান। তথাকথিত রাবীন্দ্রিকদের নিয়ে তাই একটা স্বাভাবিক প্রশ্ন উঠে আসে। এঁরা কতজন রবীন্দ্রনাথের সাধের দর্শনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। অন্তত গত পাঁচ বছরে তা দেখা যায়নি।’

ওই বিবৃতিতে অতীতের বেশকিছু ফলকের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম নেই। আর সেই যুক্তি তুলে ধরে বিশ্বভারতী বিবৃতিতে লেখে, ‘হেরিটেজ সাইট বা শ্যামলীর ফলক বসানোর আগে অনেক ফলক বিশ্বভারতীতে বসানো হয়েছিল, সেখানে গুরুদেবের নাম উল্লেখ ছিল না। ইতিহাস এবং ফলকগুলো তাই বলে। এছাড়া আরও ফলক আছে, সেখানে শুধুমাত্র প্রাক্তন উপাচার্যের নাম আছে। যদিও সেগুলো গুরুদেবের তৈরি বিশ্বভারতীতে প্রথিত আছে। হেরিটেজ নিয়ে সেই প্রথা মতো ফলক বসানো হয়েছে।’ বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘রাবীন্দ্রিকরা যতই গলা ফাটাক না কেন, এটা তো ঘটনা যে বর্তমানে আচার্য শ্রী নরেন্দ্র মোদী, যিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী, আর উপাচার্য শ্রী বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এটার তো পরিবর্তন করা যাবে না।’

বিবৃতির একেবারে শেষে লেখা হয়েছে, ‘এটা পরিষ্কার যে যাঁরা ফলক বিতর্কে বিশ্বভারতীতে অশান্তি করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা করছেন, তাঁরা তাঁদের অজ্ঞতা প্রকাশ করছেন, বা অহেতুক রাজনীতি করছেন নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য, বা চলিত প্রবাদ বাক্য অনুযায়ী ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন।’

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবৃতি
সেপ্টেম্বরে দেওয়া হয় হেরিটেজ তকমা

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’-এর তকমা দেওয়া হয়েছে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে। তারপরেই ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন এবং গৌরপ্রাঙ্গণে ৩ টি শ্বেত পাথরের ফলক বসানো হয়। সেই ফলকে আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নাম উল্লেখ থাকলেও, নেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। সেই ঘটনাকে ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। এমনকী প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *