Birbhum District : মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চালকদের কী খাওয়াচ্ছে পুলিশ? যত কাণ্ড বীরভূমে – birbhum district police took initiative to prevent road accident during winter


পুলিশ সমাজের রক্ষক। কিন্তু উর্দিধারীদের বিরুদ্ধে মাঝেমাধ্যে ওঠে বিস্তর অভাব অভিযোগ। কখনও তোলাবাজি বা কখনও রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। মাঝরাতে রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ি থেকে পুলিশের টাকা আদায়ের একাধিক অভিযোগ সামনে হয়েছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োও। বিস্তর অভিযোগের মধ্যে এবার বীরভূমের দেখা গেল পুলিশের মানবিক মুখ। তোলা আদায় নয়, রাতের অন্ধকারে জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে ট্রাক চালকদের চা পান করাচ্ছে পুলিশ! নজিরবিহীন ঘটনা বীরভূমের সিউড়িতে।

গাড়িচালকদের পুলিশের চা

জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে পণ্য বোঝাই গাড়ি থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ। যান নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কেও অবগত সাধারণ মানুষ। কিন্তু এবার এক অন্যরকমের দৃশ্য দেখল পথ চলতি সাধারণ মানুষ। রাতের অন্ধকারে লরি চালকদের চা পান করাচ্ছে পুলিশ। ঠিক এমনই বিরল দৃশ্যর সাক্ষী থাকলেন ট্রাকচালক ও পথচারীরা।

স্থানীয় জানা গিয়েছে বেশ কিছুদিন আগে, পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় পথ দুর্ঘটনা নিয়ে জেলা পুলিশকে সতর্ক করেছেন। একই সঙ্গে পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের ঘুম কাটানোর জন্য চা পান করানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মূলত দুর্ঘটনা এড়াতেই পুলিশ সুপারের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Kolkata Police Passport : কলকাতা পুলিশের ‘ম্যাজিক’! পাসপোর্ট পেতে দীর্ঘ অপেক্ষার দিন শেষ
যেমন নির্দেশ তেমন কাজ। পুলিশ সুপারের নির্দেশের পরই মঙ্গলবার রাত্রে দেখা গেল সিউড়ির ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যাওয়া পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে থামিয়ে চালকদের চা পান করাচ্ছে পুলিশ। মূলত ঘুমের ঘোরে গাড়ি চালানোর কারণে বিভিন্ন সময় ঘটে যায় দুর্ঘটনায়। তা রুখতেই এই পদক্ষেপ। পুলিশের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সকলে। মঙ্গলবার রাতে সিউড়িতে উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি ট্রাফিক ও সিউড়ি ট্রাফিক পুলিশের ওসি।

কী বলছেন পুলিশ সুপার-গাড়িচালকরা?

মহম্মদ ওসমান নামে এক গাড়িচালক বলেন, ‘আমি ভাগলপুর থেকে আসছি, যাব রানিগঞ্জ। চা খাওয়ানোর জন্য পুলিশ এখানে আমার গাড়ি দাঁড় করিয়েছিল। গাড়ি চালানোর সময় অনেক সময় আমাদের ঘুম পেয়ে যায়। চোখ লেগে আসে। সেই কারণে চা খাওয়ানো হল। খুবই ভালো উদ্যোগ। চা খেলে গাড়ি চালনোর সময় আমাদের আর ঘুম পাবে না। খুব ভালো লাগল।’

অন্যদিকে বীরভূমের পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় এই সময় ডিজিটালকে বলেন, ‘শীত আসছে। রাজ্য পুলিশের এডিজি ট্রাফিকের নির্দেশ ছিল। শীত আসছে, দুর্ঘটনার এ়ড়ানোর জন্যই এটা করা। সেই কারণেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *