কী সেই ঝুঁকি? গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, এই সমস্যা নতুন নয়। এটি অনেক দিনের সমস্যা। এই ফায়ারিং রেঞ্জে যখন তখন গুলি চলে। আর কখনও কখনও সেই গুলি ছিটকে চলে আসে লোকলয়ে। বাড়ির উঠোন কিংবা ছাদ, এমনকী দোকান বাজারের সামনেও হঠাৎ ছিটকে এসে পড়ে গুলি। অভিযোগ, এর আগেও এই গুলির আঘাতে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন। বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি।
গ্রামবাসীদের দাবি, এর ফলে গ্রামে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। আতঙ্কে দোকান বাজারেও যাচ্ছেন না মানুষ। এলাকার মানুষেরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলেই দাবি গ্রামবাসীদের। তাঁরা চান এই সমস্যা থেকে স্থায়ী মুক্তি৷ যদিও এই নিয়ে বিএসএফ আলোচনায় বসেনি বলেই দাবি গ্রামবাসীদের।
মুর্তাজা আলি নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আমার এখানে দোকান আছে, এখান থেকে ৫০০ মিটার দূরে বিএসএফ-এর একটা ফায়ারিং রেঞ্জ আছে। মাঝে মধ্যেই সেখানে ফায়ারিং হয়। যখন ফায়ারিং হয়, তখন অনেক ক্ষেত্রেই দেখেছি, গুলি বেরিয়ে এসে দোকানে পড়ে। এর আগেও গুলি বেরিয়ে গিয়ে অনেকের গায়ে লেগেছে।’
এই মহকুমাশাসক কিংশুক মাইতি জানান, অভিযোগ শুনেছেন। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে সমস্যার বিষয়ে বিএসএফ-এর সঙ্গে আলোচনা করবেন। যথাযথ পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। মহকুমাশাসক বলেন, ‘আজকে শুনেছি। কাল এনকোয়ারি করানো হবে। যদি বাস্তবেই সমস্যা থাকে, তাহলে আমরা বিএসএফ-এর সঙ্গে কথা বলব, চিঠিও করা হবে।’ যদিও এই বিষয়ে বিএসএফের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সেক্ষেত্রে কবে-কোন পথে সমস্যার সমাধান সূত্র বের হয়, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে গ্রামবাসীরা।