Human Trafficking: টিকিট বুকিং-মানি এক্সচেঞ্জের আড়ালে মানব পাচার! বারাসতে NIA অভিযানে গ্রেফতার ব্যবসায়ী – nia raid at barasat businessman arrested in allegation of human trafficking


NIA অভিযানে বড়সড় সাফল্য বারাসতে। মানবপাচার মামলার তদন্তে নেমে বড়সড় সূত্র এনআইএ-এর হাতে। বাংলাদেশে পরিবহন পরিষেবা থেকে মানি এক্সচেঞ্জের আড়ালে রমরমিয়ে চলছে মানব পাচার। সেই পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত বারাসতে এক ব্যবসায়ী। গোপন সূত্রে এমনই খবর পেয়ে বারাসতে হাজির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA। তারা হানা দেয় বারাসত নবপল্লীর বাসিন্দা সঞ্জীব দেবের বাড়ি।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোররাতে বারাসত নবপল্লী এলাকায় বসবাসকারী সঞ্জীব দেব নামে এই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় NIA। মঙ্গলবার রাত তিনটে থেকে এই অপারেশনে নামে NIA। এদিন বিকেলেও চলছে অভিযান। সূত্রের খবর, ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে নগদ ১৫ লাখ টাকা এবং প্রচুর নথি। অভিযোগ, অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন এবং হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করতেন ওই ব্যবসায়ী।

মঙ্গলবার গভীর রাতে NIA দুটি টিম নবপল্লির ১১ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন রমেশ পল্লি ছায়ানট আবাসনে হানা দেয়। রাত থেকে বিকেল পর্যন্ত চলছে তল্লাশি। বর্তমানে সঞ্জীব দেব-এর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বারাসত চাঁপাডালি যশোর রোডের ধারে দোকানে তল্লাশি অভিযান চলছে। কিন্তু, অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগের পাশাপাশি উঠেছে মানব পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কলকাতা- ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ-চট্টগ্রাম বাস সার্ভিস, কলকাতা থেকে ট্রেন সার্ভিস, টিকিট কেটে দেওয়ার ব্যবস্থা, ডলার পাউন্ড, ইউরো এক্সচেঞ্জ-কে সামনে রেখে আড়ালে চলে মানব পাচার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। বর্তমানে সঞ্জীব দেব-কে গ্রেফতার করেছে NIA। তাঁর বাড়ি ও অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত প্রচুর নথি এবং লাখ লাখ টাকা। রাজ্যে একই অভিযোগে আরও ১০ জায়গায় চলছে NIA অভিযান।বারাসতেরই চাঁপাডালি, নবপল্লী আর শালবাগানেও চলে অভিযান।

IT Raid: চালের মিল-মদের দোকানে IT রেইড, আয়কর দফতরের নজরে বিধায়ক তন্ময় ঘোষ
স্থানীয় সূত্রে খবর, সঞ্জীব দেবকে সবাই পর্যটন ব্যবসার সঙ্গেই যুক্ত হিসেবেই জানতেন। বাড়ির থেকে একটু দূরেই ছিল তাঁর অফিস। এদিন সকাল থেকে NIA-এর তল্লাশি চলছে শুনেই পাড়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মানব পাচারের অভিযোগ শুনে চমকে উঠছেন পড়শিরাও। তাদের দাবি, বরাবর টিকিট কাটা, ইউরো এক্সচেঞ্জের ব্যবসা বলেই জানতেন। এমন কাণ্ডে হতবাক সকলে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *