Ration Scam: ডিলারের মদতে ফড়ের কাছে বিক্রি রেশন-সামগ্রী! অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা মেমারিতে – problem in ration distribution complains raised at burdwan memari


রেশন দুর্নীতি মামলা নিয়ে তুঙ্গে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা। নিয়োগ দুর্নীতির পর রেশনের খাদ্যসামগ্রী নিয়ে দুর্নীতির সন্ধানে কোমর বেঁধে নেমেছে ইডি। গোটা রাজ্যে চলছে ধরপাকড় ও তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে রেশন ডিলাররাও। তারই মধ্যে রেশনের সামগ্রী বিলিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। অনলাইন বিলের পরিবর্তে হাতে লেখা ‘টোকেন’ দিয়ে রেশন ডিলার উপভোক্তাদের প্রাপ্য সামগ্রী এক দল ব্যবসায়ী বা ‘ফড়েদের’ কাছে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উপভোক্তাদের।মঙ্গলবার মেমারির বেনাপুর গ্রামে ডিলার ও এক ‘ফড়েকে’ ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।পরে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে উপভোক্তার বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়ার পরে প্রাপ্য রেশনের অনলাইন বিল বেরোয়। সেই বিল দেখিয়ে সামগ্রী নেওয়ার কথা উপভোক্তার।বেনাপুরে অনেকের অভিযোগ,বিলের পরিবর্তে তাঁদের হাতে লেখা ‘টোকেন’ দেওয়া হচ্ছিল।এক জনের বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাই করে পরিবারের সবার রেশন পাওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগ, পরিবারের সবার আধার কার্ডের লিঙ্ক মিলছে না- এই দাবি করে সংশ্লিষ্ট ডিলার প্রতি মাসেই অনেক পরিবারের মাথা পিছু দু’তিন জনের রেশন সামগ্রী দিচ্ছিলেন না। বাসিন্দাদের দাবি, তাঁদের প্রাপ্য সেই সামগ্রীর টোকেন যাচ্ছিল ফড়েদের কাছে। আবার কোনও কোনও উপভোক্তাও বিনামূল্যের রেশনের টোকেন কম দামে ফড়েদের কাছে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সেই নিয়ে আবারও অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রেশনে অনিয়ম নিয়ে উত্তাল হয় বর্ধমানের মেমারি।

West Bengal Ration Dealer : ED-র নজরে রেশন ডিলারদের ‘কারসাজি’! ডাক পড়ল জয়িতার
স্থানীয়দের অভিযোগ, এদিন এক ফড়ে প্রচুর টোকেন নিয়ে এসে রেশন সামগ্রী তুলছিলেন। হইচই শুরু হতেই মোটরবাইকে চেপে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এলাকার অনেকে ছুটে গিয়ে তাঁকে ধরে ফেলেন। ওই ফড়ে দাবি করেন, রেশন ডিলার ও তাঁর কর্মীদের কাছ থেকে টাকা দিয়ে টোকেনগুলি কিনেছেন তিনি। রেশন সামগ্রী নিয়ে গিয়ে বড় ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন তিনি বলেও স্বীকার করেন। যদিও সংশ্লিষ্ট ডিলার রাজীব রায়ের দাবি, ‘ওই টোকেনের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।কর্মীরা যুক্ত থাকতে পারেন। রেশন সামগ্রীর হিসাবও মিলছে না। দফতরকে জানাব।’ রেশন ডিলারের কর্মী বিপ্লব পালের যদিও দাবি,’টোকেন দেখেই রেশনের জিনিস দিই। কে কী ভাবে টোকেন পেয়েছেন, আমার জানা নেই।’
জেলা খাদ্য নিয়ামক মিঠুন দাস জানিয়েছেন, ‘ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *