জানা গিয়েছে, মহম্মদবাজার থানা এলাকার মুর্গাবুনি গ্রামে বুধবার সকালে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই গ্রামের একটি পুকুরের পাড় থেকে উদ্ধার ওই মৃতদেহটি। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা মৃত দেহটি থাকতে দেখে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠায়।
রহমান মিঞা নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘সাড়ে ৮টার সময় খবর পেলাম, এখানে একটা ছেলেকে থেঁতলে মেরে দিয়েছে। ছেলেটার পরিচয় জানা যায়নি। থানায় ফোন করা হল। পুলিশ এসে দেহ তুলে নিয়ে গেল।’ রহমান মিঞার অনুমান, রাতেই খুন করা হয়েছে ওই ছেলেটিকে।
আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘সকাল ৮টা নাগাদ খবর পেলাম, মুর্গাবনির পাশে যে নতুন বাঁধ কাটা হয়েছে, সেখানে একটা মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে।’ তাঁর অনুমান, ওই যুবককে প্রথমে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তারপর পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে। দেহ দেখতে পেয়েই থানায় খবর দেওয়া হয়।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান পাথর দিয়ে থেতলে খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। মৃত যুবকের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি রক্তমাখা পাথর। দেহের মুখ-সহ দেহের বিভিন্ন জায়গা ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। সিউড়ির পর এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বীরভূমের সিউড়িতে গভীর রাতে এক যুবককে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুনের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, নিহত যুবক ও অভিযুক্ত যুবক, উভয়ের সঙ্গেই যোগাযোগ ছিল এক যৌনকর্মীর। ধৃত যুবক মোবারক শা একসময় ওই যৌনকর্মীকে বিয়েও করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যদিও তা হয়নি। অন্যদিকে নিহত যুবক কুতুবুদ্দিনের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল ওই যৌনকর্মীর। আর সেই যোগাযোগকে কেন্দ্র করেই কুতুবুদ্দিন ও মোবারকের মধ্যে অশান্তির সূত্রপাত ও তার জেরেই খুন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। যদিও ওই যৌনকর্মী সংবাদমাধ্যমে জানান, মোবারকের সঙ্গে গত একবছর আগে থেকেই সম্পর্ক নেই তাঁর।