সোমবার থেকে শুরু হওয়া কাউন্সেলিংয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) প্রকাশিত নিয়োগ তালিকায় অধিকাংশ শূন্যপদের কোনও উল্লেখই নেই বলে অভিযোগ। রাজ্যের সহস্রাধিক বিদ্যালয়ে একই অবস্থা। তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে এ ব্যাপারে কমিশনের কাছে লাগাতার ফোন ও ইমেল আসছে বলে খবর। অভিযোগ, ২০০৭ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ফাঁকা হওয়া বহু শূন্যপদও তালিকায় নেই।
যদিও এসএসসি-র কর্তাদের দাবি, বিকাশ ভবন থেকে যেমন শূন্যপদ মিলেছে, সেই মতো কাউন্সেলিং হচ্ছে। এ ব্যাপারে কমিশনের কোনও ভূমিকা নেই। অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেস, শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ এবং সেকেন্ডারি টিচার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ইতিমধ্যে স্কুল শিক্ষা কমিশনার, এসএসসি চেয়ারম্যান এবং স্কুলশিক্ষা সচিবের কাছে দাবিসনদও দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ, বিদ্যালয় পরিদর্শক (ডিআই) অফিস ও বিকাশ ভবনে যোগাযোগ করেও সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রত্যেক স্কুল থেকে সংশ্লিষ্ট অফিসে একাধিকবার শূন্যপদের খতিয়ান নথিসহ জমা দেওয়া হয়েছে। ফলে চাকরিপ্রার্থী ও অধিকাংশ স্কুল ভীষণভাবে বঞ্চিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিকাশ ভবনের ‘গ্রান্ট ইন এইড’ বিভাগের তরফে দাবি করা হয়েছে, এটা কোর্ট অর্ডারে ২০১৭ সাল বা সেই সময়ের নির্দিষ্ট সংখ্যক শূন্যপদের তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে, বিভিন্ন বিষয়ে ৭০০ শূন্যপদে কাউন্সেলিংয়ে এদিন ৭০ জন গরহাজির ছিলেন। একজনের প্রার্থীপদ খারিজ হয়ে গিয়েছে।