উল্লেখ্য, পুজোর ছুটির পর রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পগুলির রূপায়ণ নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকও হয়। সেখানেই কাজে গতি আনার উপর বিশেষ করে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। শর্তাধীন তহবিল থেকে মূলত দুটি খাত নিকাশি এবং পানীয় জলের পরিকাঠামো তৈরিতে অর্থ খরচ করা হয়। অন্যদিকে, শর্ত বিহীন তহবিল থেকে থেকে অর্থ রাস্তা তৈরি, কালভার্ট সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়।
প্রথম কিস্তিতে বাংলা পেয়েছিল ১৬০০ কোটি টাকা। আর সেই টাকা উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করার জন্য খরচ করা হবে। এছাড়া অনলাইন অডিট সম্পূর্ণ করতে হবে রাজ্যকে। এই কিস্তির টাকা খরচের পরেই মিলবে পরবর্তী টাকা। সূত্রের খবর, এই বরাদ্দ অর্থের ৬০ শতাংশের কম খরচ করা হয়েছে মালদা, জলপাইগুড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। সূত্রের খবর, ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই প্রথম খাতে বরাদ্দ অর্থর হিসাব কেন্দ্রকে পাঠাতে চাইছে রাজ্য।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন ধরেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে সরব রাজ্য। এরই মধ্যে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী মঙ্গলবার রাজ্যকে ৫ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তি বলছে, দেশের সমস্ত রাজ্যগুলির জন্য ৭২ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। অন্যান্য রাজ্যগুলির নিরিখে সবথেকে বেশি অর্থ পেয়েছে উত্তরপ্রদেশ। ১৩ হাজার ৮৮ কোটি টাকা পেয়েছে যোগী রাজ্য। অন্যদিকে, বিহারকে দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৩ অক্টোবর দিল্লিতে ধরনা কর্মসূচির আয়োজন করে রাজ্য শাসক দল।