দিল্লিতে ‘বাংলার শাড়ি’ বিপণী
বুধবার থেকে কালীপুজোর উদ্বোধন শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবার প্রথমে তিনি মধ্য কলকাতার জানবাজার কালীপুজো কমিটির পুজো উদ্বোধন করতে যান। সেখান থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে দিল্লিতে ‘বাংলার শাড়ি’-র নয়া বিপণীর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির বঙ্গভবনে এই নয়া বিপণী খোলা হয়েছে সরকারের তরফে। দিল্লিতে প্রচুর সংখ্যায় বাঙালি বসবাস করেন। এই বিপণি উদ্বোধনের ফলে প্রবাসে বাঙালিরা এখন থেকে সহজে বাংলায় তৈরি শাড়ি কিনতে পারবেন। এছাড়াও প্রচুর সংখ্যক অতিথি দিল্লি গেলে বঙ্গভবনে গিয়ে ওঠেন। তাঁদের কাছেও রাজ্যের তৈরি শাড়ি কেনার সুযোগ থাকবে। ধীরে ধীরে দেশের একাধিক রাজ্যে এই বিপণী চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কী বললেন মমতা?
দিল্লির বঙ্গভবনে ‘বাংলার শাড়ি’-র নয়া বিপণি উদ্বোধনের সময় দৃশ্যতই খুশি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘দিল্লির বঙ্গভবনে বাংলার শাড়ি শোরুমের উদ্বোধন হল। প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এটা খুবই ভালো হল। সারা ভারতবর্ষে এটা আস্তে আস্তে সারা দেশে এটা খুলব। দিল্লির রেসিডেন্সিয়াল কমিশনারসহ আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
পুজোর আগে কলকাতা চালু হয় ‘বাংলার শাড়ি’-র একাধিক শোরুম
পুজোর আগেই রাজ্যের শাড়িপ্রেমীদের বড় উপহার দিয়েছে রাজ্য সরকার। ‘উৎকর্ষ বাংলা’ পর্যালোচনা বৈঠকে বাংলায় তৈরি শাড়ি সস্তায় বিক্রি করার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর আগেই বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গন থেকে বাংলার শাড়ির দুটি স্টোরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ঢাকুরিয়া দক্ষিণাপণ ও নিউ দিঘায় এই দুটি স্টোর উদ্বোধন করেন মমতা। বাংলার সবকটি ব্লকে ‘বাংলার শাড়ি’-র বিপণি খোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বিভিন্ন জেলায় তৈরি শাড়ি পাওয়া যাবে এখানে। দাম শুরু হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে।