Green Crackers : গ্রিন বাজি কোনগুলি-দামও কি বেশি? জানিয়ে দিলেন ব্যবসায়ীরাই – bazi bazar has started kolkata maidan know green crackers price


কালী পুজো এগিয়ে আসছে। আর কালী পুজোয় বাজি পোড়ানো, খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বাজির কেনাকাটা। তাই বিভিন্ন জায়গায় বাজির পসরা সাজিয়ে বসতেও দেখা যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তবে কালী পুজোয় বাজি প্রেমীরা মূলত যার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন, তা হল ময়দানের বাজি বাজার। আর সেই বাজি বাজার ইতিমধ্যেই বসে গিয়েছে। শুধুমাত্র ময়দান নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে বাজি বাজার।

পরিবেশের কথা চিন্তা করে রাজ্য সরকার বারেবারেই গ্রিন ক্র্যাকার্স বা সবুজ বাজি পোড়ানোর কথা বলছে। এমনকী বুধবারও কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে সবুজ বাজি পোড়ানোর বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শেক্সপিয়র সরণি, ভবানীপুর ভেনাস ক্লাব ও জানবাজারের পুজো উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই মানুষকে সবুজ বাজি পোড়ানোর বার্তা দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সবুজ বাজি তৈরির জন্য রাজ্যে বিশেষ ক্লাস্টার গঠন করা হচ্ছে। সেখানেই বাজির কারখানা ও দোকান খোলার সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা।

মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, উৎসব যেন কারও প্রাণ না কেড়ে নেয়, বাড়ি পোড়াতে গিয়ে কাউকে অকালে যেন চলে যেতে না হয়। শব্দ এবং আতসবাজি প্রাণ কেড়ে নিতে পারে, কিন্তু সবুজ বাজি প্রাণ কেড়ে নেয় না।’ এবার প্রশ্ন হচ্ছে গ্রিন বাজি কোনগুলি? আর তার দামই বা কেমন? অর্থাৎ এতদিন যে বাড়ি পোড়ানো হয়েছে, তার থেকে কি গ্রিন বাজির দাম বেশি?

Green Crackers : ‘দাদা গ্রিন দেখান’, ময়দানের বাজারে পরিবেশ বান্ধব বাজির চাহিদা বাড়ছে
সবুজ বাজির দাম কেমন?

এই প্রসঙ্গে সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় এই সময় ডিজিটালকে জানান, এতদিন পর্যন্ত বাজির প্রধান উপাদান ছিল বেরিয়াম বা সোডা, গন্দক এবং কাঠকয়লা। তবে এখন ওই বেরিয়ামের পরিবর্তে অন্য কেমিক্যাল ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। সেগুলিকেই মূলত বলা হচ্ছে সবুজ বাজি। তাতে দূষণের মাত্রা ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো যাচ্ছে। আর এই নতুন উপাদান ব্যবহারের ফলে বাজির দামে খুব বেশি পার্থক্য হয়নি বলেও জানান বাবলা রায়। বর্তমানে বিভিন্ন বাজি বাজারে কার্যত ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকারও বাজি রয়েছে বলে জানান তিনি। ময়দান ছাড়া কলকাতার একাধিক জায়গা, এমনকী রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও বাজি বাজার বা বাজি মেলা চলছে বলে জানান বাবলা রায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *