Jhargram Accident : উলটে গেল বাস, ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা রাজ্যে! প্রাণে বাঁচতে হাহাকার যাত্রীদের – jhragram area fatal bus accident at lalgarh police station area several passengers injured


নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পালটি হয়ে গেল যাত্রীবাহী বাস। ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজন যাত্রী। বৃহস্পতিবার সকালে লালগড় থানার অন্তর্গত শালচাতুরি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা যাত্রীদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান। এই ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনার পর থেকে বাসের চালক ও কন্ডাক্টর।

কী ঘটনা?

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকলে মেদিনীপুর থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ঝাড়গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ঝাড়গ্রামে আসার পথে কংসাবতী নদী পেরিয়ে শালচাতুরি এলাকায় আনুমানিক সকাল সাতটা চল্লিশ মিনিট নাগাদ ঘটে এই দুর্ঘটনা। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে পাশে থাকা ধানক্ষেতের দিকে যেতে থাকে। জমি থেকে রাস্তা অনেক উঁচু থাকায় বাসটি বাঁ দিকে উলটে যায়। বাসের যাত্রীদের চিৎকারের আওয়াজ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তাঁরা শুরু করেন উদ্ধার কাজ। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়।

Behala Accident: বেহালায় ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনা! বাস পিষল একের পর এক গাড়িকে, আহত ২১
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর থেকে ঝাড়গ্রাম ভায়া ধেরুয়া রুটের বাসটি নিয়মিত এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। দুর্ঘটনার সময় বাসটিকে ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বাসে থাকা প্রত্যেক যাত্রী কম বেশি আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

কী বলছেন যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা?

বাসযাত্রী সৌমেন রায় বলেন, ‘সকালে রাহী ট্রাভেলস নামের এই বাসে চেপে ঝাড়গ্রাম আসছিলাম। হঠাৎ করে তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব করি। সেই সময় হঠাৎ করে বাসটি বাঁ দিকে ঢুকে যায়। রাস্তা থেকে উলটে ধান জমির উপর পড়ে। সকলে চিৎকার করে ওঠেন। বাসে আমাদের আওয়াজ শুনে এলাকার মানুষজন ছুটে আসেন আমাদের উদ্ধার করার জন্য। আমি বাসের পিছনে বসে ছিলাম। পেছনের কাচ ভেঙে বাইরে বেরিয়ে আসি। আমার হাতে খুব লেগেছে। তবে অন্য কোথাও গুরুতর আঘাত পাইনি। বাসের দু-একজন যাত্রীর হাত-পা ভেঙেছে । তাঁদেরকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’

অন্যদিকে স্থানীয় দোকানদার কল্যাণী চালক বলেন, ‘আমি তখন দোকানেই বসে ছিলাম। বাসটি আমার দোকান পেরিয়ে যাবার পরেই প্রবল জোরে শব্দ করে ওঠে । বেরিয়ে দেখি বাসটি উলটে গিয়েছে। বাসের ভিতরে থাকা যাত্রীরা চিৎকার করছেন। আমরা সবাই ছুটে গিয়ে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছি। যাত্রীদের অনেকের হাত পা ভেঙে গিয়েছে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। এখানকার রাস্তা খুব খারাপ। দীর্ঘদিন বলার পরও কিছু হয় না। প্রশাসনের আরও উদ্যোগী হওয়া উচিত।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *