এদিনের প্রকাশ্য সমাবেশ থেকে রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে সুর চড়ান যুব বাম নেত্রী৷ চাকরি থেকে শুরু করে রেশন। একের পর এক দুর্নীতিতে নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতারি নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি।
কী বললেন মীনাক্ষী?
এদিনের সভা থেকে মীনাক্ষী বলেন, ‘২০১১-তে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এই রায়গঞ্জ শহরে সবার প্রথম রায়গঞ্জ কলেজের প্রিন্সিপালের কলারটা টেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে টিএমসিপির নেতা গুলো মেরেছিল। আমাদের রক্ত ঠান্ডা হয়ে যাবে? সেদিন থেকে কলেজ ক্যাম্পাসগুলি গুন্ডারা দখল করে আছে। আজ দশটা বছর চলে গেছে কলেজের রাজনীতি, কলেজে ভোট বন্ধ আছে। কলেজের সিটগুলো আজ পূরণ হচ্ছে না। এর বিরুদ্ধে আমার লড়াই চলছে। আমরা একদিন এর অবসান ঘটাবই।’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সল্টলেক সিজিও কমপ্লক্সে ডাক পড়ে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নির্ধাতির সময়ে সিজিও উপস্থিত হন শাসকদলের নেতার। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে তিনি বাইরে বেরিয়ে আসেন। অভিষেক জানান তিনি নথি জমা দিয়েছে, তারপর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে অভিষেককে কটাক্ষ করেছেন মীনাক্ষী।
রায়গঞ্জে সিপিএম যুব সংগঠনের এই নেত্রী বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইডি দফতরে যাওয়ার বিষয়টা মামার বাড়ি যাওয়া আসার মতো হয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় লজ্জার বিষয় যে রাজ্যের নেতা-মন্ত্রী বা সাংসদদের ইডি বারবার ডাকছে। এটা রাজ্যবাসীর জন্য লজ্জার বিষয়।’
বামেদের ইনসাফ যাত্রা
শিক্ষা ও কাজের দাবিতে ৩রা নভেম্বর থেকে ইনসাফ যাত্রা শুরু হয়েছে। কোচবিহার থেকে কলকাতা অবধি আসবে এই যাত্রা। মানুষের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠার বার্তাকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার DYFI-এর ইনসাফ যাত্রা এসে পৌঁছয় রায়গঞ্জ শহরে। এদিন রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ হয়ে এই যাত্রা শহরে প্রবেশ করে। রায়গঞ্জের ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গনে গিয়ে সেখানে একটি প্রকাশ্য সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই যাত্রা ও সমাবেশে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলতান দাসগুপ্ত, পলাশ দাস সহ সিপিএমের যুব নেতৃত্ব।