Anupam Hazra : ‘অকালকুষ্মাণ্ড অনুপম হঠাও…’, পোস্টারে ছেয়ে গেলে বোলপুর – poster against bjp leader anupam hazra at birbhum bolpur


বিগত দিনে বিজেপির রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে বারেবারেই ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এবার পালটা তাঁর বিরুদ্ধেই পোস্টার পড়ল বীরভূমে। বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে এবার পোস্টার পড়ল বীরভূমের বোলপুর শহরে। বোলপুরের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে পোষ্টার সাঁটানো হয়েছে।

অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে যে পোস্টার পড়েছে, তার কোনওটিতে লেখা ‘সেটিংবাজ অনুপমকে অবিলম্বে বিজেপি থেকে বহিষ্কার করা হোক’, কোনওটিতে আবার লেখা ‘অকালকুষ্মাণ্ড অনুপম হঠাও বিজেপি বাচাঁও’। পোস্টারগুলির তলায় লেখা ‘আদি বিজেপি কর্মীবৃন্দ’। যদিও কে বা কারা ওই পোস্টারগুলি লাগিয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়।

এদিকে এই ধরণের পোস্টারের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অনুপম হাজরাও। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আপনারা সকলেই জানেন যে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় প্রতিষ্ঠিত চোর, দুর্নীতিগ্রস্ত এবং সেটিংবাজদের জেলা সভাপতি হিসেবে বসিয়ে রাখা হয়েছে, তাই আমি চোর মুক্ত বিজেপির ডাক দিয়েছি। আর সেটা শুনে যে চোরের সব থেকে বেশি রাগ হয়েছে, যার জেলা কমিটির মিটিং-এ ঠিক মতো কোরাম অবধি হয় না, সেই চোর রাতের অন্ধকারে আমার বিরুদ্ধে পোস্টার মারা করিয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শমীক ভট্টাচার্যকে ‘ঠান্ডা ঘরে বসা তোতা ‘ বলে কটাক্ষ করেন অনুপম হাজরা। পাশাপাশি রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক মণ্ডলীর ঘনিষ্ঠ ধ্রুব সাহা, অনুপ সাহা এবং অষ্টম মণ্ডলের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগে সরব তিনি। অনুপমের দাবি, দুর্নীতিগ্রস্থ হওয়া সত্ত্বেও এই নেতারা রাজ্য নেতৃত্ব ও সাধারণ সম্পাদক মণ্ডলীর একাংশের স্নেহধন্য হওয়ায় নিজ নিজ পদে বহাল রয়েছেন। আর তাঁদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণেই তাঁকে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে দাবি করেন অনুপম হাজরা।

Anupam Hazra: ‘আমার প্রাণনাশের আশঙ্কা…’,BJP নেতার বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ অনুপমের
এক ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, ‘রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তোতাপাখির ইচ্ছে, তাঁর একান্ত ঘনিষ্ঠ অনুপ মণ্ডলকে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানো হোক। জিতুন না জিতুন, ভোটে দাঁড়ালে যে ফান্ড পাওয়া যায়, সেটাই লক্ষ্য। আমি থাকলে সেই সুযোগ কমে যাচ্ছে বলেই তাঁদের ক্ষোভ। রাজ্যের পদাধিকারীদের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় কারণেই, কুকীর্তির প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তাঁদের পদ থেকে সরানো হয়নি।’ আর সেই লাইভের পর, এদিনের পোস্টারকে ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *