হেলমেট পরে বাড়িতে এক ব্যক্তি
জানা গিয়েছে, কাঁকসার সারদাপল্লীর বাসিন্দা ধনঞ্জয় বিশ্বকর্মার বাড়িতে ছিলেন তাঁর মেয়ে শাশুড়ি এবং শ্যালকের ছেলে। বর্তমানে অসমে রয়েছেন ধনঞ্জয় বিশ্বকর্মা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে আচমকা মোটরবাইকে করে এসে এক ব্যক্তি হেলমেট পরেই ধনঞ্জয় বিশ্বকর্মার বাড়িতে ঢোকেন। কিছুক্ষণ পর চলেও যান তিনি। তার কিছুটা সময় পর প্রতিবেশীরা ধনঞ্জয়ের বাড়িতে যেতেই দেখতে পান তিনজনের মৃতদেহ তিন জায়গায় পড়ে। ঘরের দু’টি বিছানায় পড়ে রয়েছে মেয়ে এবং শাশুড়ির দেহ। আর শ্যালকের ছেলের রক্তাক্ত দেহ বাড়ির উঠোনে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
দ্রুত কাঁকসা থানায় খবর যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাঁকসা থানার পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পৌঁছন, এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল, ডিসি ও ইস্ট কুমার গৌতম। খবর দেওয়া হয় ফরেন্সিক দলকেও। ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধনঞ্জয় বিশ্বকর্মার মেয়ে ও শাশুড়ির গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন রয়েছে। আর শ্যালকের ছেলের দেহ পাওয়া গিয়েছে রক্তাক্ত অবস্থায়। সেক্ষেত্রে ৩ জনকেই খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। তবে ঠিক কী কারণে খুন, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
পুলিশ সূত্রে আরও খবর, এই ঘটনায় পাড়া প্রতিবেশী, পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। ঘটনায় পরিবারের পরিচিত কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ঘটনার নেপথ্য় পুরনো শত্রুতা বা অন্য কোনও দিক থাকতে পারে কি না, সেই দিকটিও নজরে রাখছেন তদন্তকারীরা। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে কাঁকসা থানার পুলিশ।
বৌমার মারধরে শাশুড়ি ‘খুন’
অন্য়দিকে দুর্গাপুরেই সিভিক বান্ধবীর সঙ্গে গোপন সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় শ্বাশুড়ি ও ভাসুরকে বেধরক মারধরের অভিযোগ উঠল বৌমার বিরুদ্ধে। মারধরের জেরে মৃত্যু হয়েছে শাশুড়ির। মৃতার নাম অনিমা রায়, বয়স ৭০। ঘটনায় দোষীর কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতার দুই ছেলে শ্রীকান্ত রায় ও প্রশান্ত রায়।