Joynagar Moa: কবে পাবেন আসল জয়নগরের মোয়া? নকল ঠেকাতে প্যাকেটে এবার বারকোড – joynagar moa how to check authentic bengali sweet when will you get it details


শীতকাল মানেই লেপ-কম্বল-পিকনিক আর জয়নগরের মোয়া! কিন্তু, আসল মোয়া বাজারে আসতে এখনও ঢের দেরি। ২০১৫ সালেই জিআই বা ‘জিয়োগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন’ তকমা আদায় করে নেয় জয়নগরের মোয়া। কিন্তু, প্রতি বছরই কলকাতা থেকে জেলা জাল জয়নগরের মোয়া বিক্রি বেড়ে চলেছে । বছর বছর ‘মোয়া প্রতারণা’-র চক্র আরও স্মার্ট হচ্ছে। এ বছর এখনই শিয়ালদা-বনগাঁ, শিয়ালদা-হাসনাবাদের মতো ট্রেন লাইনে জয়নগরের নামাঙ্কিত মোয়া বিক্রি হতেও শুরু করে দিয়েছে। সে মোয়া যে ভেজাল তা বলাবাহুল্য।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোয়া তৈরিই এখনও শুরু হয়নি। যাঁরা মোয়া বানান তাঁদের কাছে নলেন গুড়ই এসে পৌঁছয়নি। কবে থেকে বাজারে মিলবে মোয়া? জয়নগর মোয়া নির্মাণ সোসাইটির সম্পাদক অশোক কয়াল এই সময় ডিজিটাল-কে বলেছেন, ‘ভালো মানের গুড় পাওয়া যাবে নভেম্বরের শেষে। তা পাওয়া গেলেই শুরু হবে মোয়া তৈরির কাজ। ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিক থেকেই আমাদের মোয়া বাজারে পেয়ে যাবেন।’

মোয়া পেল জিআই স্বীকৃতি

জয়নগরের নামে নকল মোয়া ঠেকাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে?

জানা গিয়েছে, এ বছর বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন মোয়া ব্যবসায়ীরা। মিনিস্ট্রি অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের অন্তর্গত নির্দিষ্ট যে সংস্থার কাছে বারকোডের জন্য আবেদন করতে হয়, তা করা হয়ে গিয়েছে। অশোকবাবু বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, এ বছরের যে মোয়ার প্যাকেট বাজারে আসবে, সেই প্যাকেটে বারকোড থাকবে। ফলে মানুষের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ অনেকটাই কমবে।’ পাশাপাশি কী কী উপকরণ দিয়ে মোয়া তৈরি করা হয়েছে তা প্যাকেটেই লেখা থাকবে। সঙ্গে আগামীদিনে হলোগ্রামেরও চিন্তাভাবনা করছেন ব্যবসায়ীরা।

মোয়া ব্যবসায়ীদের একাংশের মতে এমনিতেই গত কয়েক বছর ধরে এই ব্যবসায় খানিক ভাঁটা পড়েছে। মূল কারণ, উৎকৃষ্ট পরিমাণ নলেন গুড়ের অভাব। অনেক ক্রেতাই বলেন, আগের মতো স্বাদ-গন্ধ আর মেলে না জয়নগরের মোয়ায়। মোয়া তৈরির ক্ষেত্রে অন্যতম মূল উপাদান হল নলেন গুড়। হাড় ভাঙা পরিশ্রম করেও তেমনভাবে লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছে না গুড় ব্যবসায়ীরা। ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর, কুলতলী, বাসন্তী, গোসাবা এলাকার শিউলিরাও এখন অন্য ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে। লাভ না থাকার কারণে এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছে না আগামী প্রজন্মও। আর এতে দিন দিন দামও বাড়ছে জয়নগরের মোয়ার। অনেকেরই আশঙ্কা, একসময় হয়ত, এই মোয়াও সাধারণের নাঙালের বাইরে চলে যাবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *