জেল হেফাজতে মৃত্যু পুরুলিয়ার কাউন্সিলার তপন কান্দু খুনে অভিযুক্তের


মনোরঞ্জন মিশ্র: পুরুলিয়ার ঝালদার কাউন্সিলার তপন কান্দু খুনে ধৃত আসামীর মৃত্যু হল পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে। পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগারে থাকা অভিযুক্ত সত্যাবান প্রামাণিক হঠাত্ই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ভর্তি করা হয় পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন- উত্তরকাশীতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মান টানেল, ভেতরে আটকে কমপক্ষে ৩৫

২০২২ সালে ১৩ মার্চ বাড়ির কাছেই খুন হন পুরুলিয়া পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দু। ঘটনার তদন্তে নেমে ১২ এপ্রিল সত্যবানকে গ্রেফতার করে সিবিআই। অভিযুক্ত সত্যবানকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। সেখানে অসুস্থ হে পড়লে তাকে  পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানেই  চিকিত্সাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সত্যবানের। কী কারণে এই মৃত্যু তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা করেছে। এনিয়ে রহস্যও দানা বেঁধেছে।

উল্লেখ্য, তপন কান্দু খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছিলেন সত্যবান প্রামাণিক। তপন কান্দু খুনের ঘটনায় হেফাজতে থাকা ৩ অভিযুক্ত, নরেন কান্দু, সত্যবান প্রামাণিক ও কলেবর সিংকে ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল আদালতে পেশ করা হয়। পুলিস ভ্যানে বসে সত্যবান চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন। বলেন, ঘটনায় আরও বড় মাথা রয়েছে। কিন্তু কে সেই মাথা? এ ব্যাপারে আর কিছু বলেননি সত্যবান। তাহলে কি তপন কান্দুর স্ত্রী বার বার যে রাঘববোয়ালদের  কথা বলছিলেন, সত্যবান ও কি তাঁকেই ইঙ্গিত করছে? বলাই বাহুল্য, ফের তপন কান্দু হত্যাকান্ডে বড় মাথা অর্থাৎ শাসকদলের কোনও নেতার নাম থাকার জল্পনাকে উস্কে দিয়েছিলেন সত্যবান।

এদিকে, ওই খুনের ঘটনায় মৃত্যু হয় এক প্রত্যক্ষদর্শীর। ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হয় তপন কান্দুর বন্ধু শেফাল বৈষ্ণবের দেহ। সে-ই ছিল কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, তপন কান্দুর অভিন্ন হৃদয় বন্ধু এবং তার খুনের ঘটনা মন থেকে মেনে নিতে পারেননি শেফাল বৈষ্ণব। তাই অবসাদে ভুগতেন।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *