অনুব্রত মণ্ডল থাকাকালীন নিজের হাতে পার্টি অফিসের কালী প্রতিমাকে সোনার গয়নায় সাজিয়ে দিতেন তিনি। ৫০০ ভরির বেশি গয়না তিনি প্রতিমাকে পরিয়েছিলেন ২০২১ সালে। আর তা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। বিপুল গয়নার সামনে সাজিয়ে বসতেন অনুব্রত। এরপর বেছে বেছে গয়না পরাতেন তিনি। আর সেই বিপুল সাজসজ্জা নিয়ে বছরভর চলত চর্চা।
চলতি বছরে কেষ্টর কালীপুজো নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। কী ভাবে সাজল দলীয় কার্যালয়ের প্রতিমা? জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের অবর্তমানে যাতে পুজোতে জৌলুস খুব একটা না কমে সেই জন্য জেলা নেতৃত্বের তরফে সমস্ত চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিমাকে পরানো হয়েছে সোনার গয়নাও। বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই বছর দলীয় কার্যালয়ের কালীকে আমরা প্রায় ৭০ ভরি সোনার গয়না পরিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা সমস্তটুকু দিয়ে আয়োজন করেছি। এই বছর মনে করেছিলাম কেষ্টদা সঙ্গে থাকবে। কিন্তু, এমনটা হল না। সমস্তটুকু দিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি পুজোটাকে সুন্দরভাবে করার।”
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের কালীভক্তির কথা কারও অজানা নয়। তিনি নিজের নীচুপট্টির বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় কালীপুজো করতেন। একইসঙ্গে দলীয় কার্যালয়ের পুজোটিও ‘কেষ্ট কালী’ হিসেবেই পরিচিত ছিল। তাঁর এই পুজোয় বহু মানুষের সমাগম হত। গত বছর আগস্ট মাসেগ্রেফতার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। CBI-এর হাতে গ্রেফতার হয়ে প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন তিনি। এরপর তাঁকে হেফাজতে নিয়েছিল ED।
তাঁকে দোলের সময় দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তিনি রয়েছেন তিহাড় জেলে। শুধু অনুব্রত মণ্ডল নন, গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। এই পরিস্থিতিতে দলীয় কার্যালয়ের পুজোটি করছেন দলের কর্মীরা। অন্যদিকে, তাঁর পাড়ার পুজোর কাছে এগিয়ে এসেছেন কাজল ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, “দাদার পুজোয় ভাই এগিয়ে এসেছে।” কাজলের এই মন্তব্য রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।