এত সংখ্যক বিএড কলেজকে একসঙ্গে ছাড়পত্র না দেওয়ায় সরব হয়েছেন ব্রাত্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জামতলা বাজারে দলীয় প্রতিবাদ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এই পরিযায়ী ও অনুপ্রবেশকারী উপাচার্যরা এ ভাবে রাজ্যের সিস্টেম খারাপ করতেই পারে। সবাই জানে স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বিএড প্রশিক্ষণ আবশ্যিক। সংশ্লিষ্ট বিএড কলেজগুলো নিয়ে কী হয়েছে, কেন হয়েছে, সেটা আমরা জানি না। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উচ্চশিক্ষা দপ্তর থেকে তদন্ত করা হবে।’
বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তাঁর দাবি, ২০২২-র ১৫ জানুয়ারি এই শিক্ষামন্ত্রীর সময়েই উচ্চশিক্ষা দপ্তর তাঁকে বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এমনকী পরে যে ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য পদে রাজভবনে নাম পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যেও তাঁর ছিল। তারপরও কেন এ কথা বলছেন, জানা নেই।
এদিকে, ফি বছর সরকারি অনুমোদন পুনর্নবীকরণে ওই বেসরকারি বিএড কলেজগুলোকে আবেদন করতে হয়। মালিকেরা সরাসরি, বিএড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর দিকেই আঙুল তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, এক শ্রেণির বিএড কলেজ টাকা দিয়ে অনুমোদন নিয়েছে। যারা টাকা দিতে পারেনি, তাদের স্বীকৃতি পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। পূর্ব বর্ধমানের বিএড কলেজ, শিক্ষাবিকাশ সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রশান্ত সিংহরায় বলেন, ‘আমাদের সমস্ত পরিকাঠামো রয়েছে। তারপরও এ বার পুনর্নবীকরণের শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না।’
