B Ed College West Bengal: বিএড কলেজ: অচলাবস্থা মেটাতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ – b ed colleges may seeks mamata banerjee help about licence cancelation


এই সময়: রাজ্যের আড়াইশোটি বিএড কলেজ নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, সে ব্যাপারে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হতে চলেছেন সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ। বোলপুরে শনিবার কলেজগুলোর মালিক ও অধ্যক্ষদের বৈঠকের পর জানানো হয়েছে, সমস্যার সমাধানে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন। সেই সঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও ধর্মেন্দ্র প্রধানকেও পুরো বিষয়টি জানাবেন। পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নানা শর্তপূরণে খামতি থাকায় এ বছর সংশ্লিষ্ট কলেজগুলোয় পড়ুয়া ভর্তির ছাড়পত্র দিতে চায়নি বাবাসাহেব আম্বেদকর বিএড বিশ্ববিদ্যালয়।

এত সংখ্যক বিএড কলেজকে একসঙ্গে ছাড়পত্র না দেওয়ায় সরব হয়েছেন ব্রাত্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জামতলা বাজারে দলীয় প্রতিবাদ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এই পরিযায়ী ও অনুপ্রবেশকারী উপাচার্যরা এ ভাবে রাজ্যের সিস্টেম খারাপ করতেই পারে। সবাই জানে স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বিএড প্রশিক্ষণ আবশ্যিক। সংশ্লিষ্ট বিএড কলেজগুলো নিয়ে কী হয়েছে, কেন হয়েছে, সেটা আমরা জানি না। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উচ্চশিক্ষা দপ্তর থেকে তদন্ত করা হবে।’

বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তাঁর দাবি, ২০২২-র ১৫ জানুয়ারি এই শিক্ষামন্ত্রীর সময়েই উচ্চশিক্ষা দপ্তর তাঁকে বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এমনকী পরে যে ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য পদে রাজভবনে নাম পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যেও তাঁর ছিল। তারপরও কেন এ কথা বলছেন, জানা নেই।

B Ed College West Bengal : রাজ্যে একধাক্কায় ২৫৩ বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল, নেপথ্যে কোন কারণ?
এদিকে, ফি বছর সরকারি অনুমোদন পুনর্নবীকরণে ওই বেসরকারি বিএড কলেজগুলোকে আবেদন করতে হয়। মালিকেরা সরাসরি, বিএড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর দিকেই আঙুল তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, এক শ্রেণির বিএড কলেজ টাকা দিয়ে অনুমোদন নিয়েছে। যারা টাকা দিতে পারেনি, তাদের স্বীকৃতি পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। পূর্ব বর্ধমানের বিএড কলেজ, শিক্ষাবিকাশ সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রশান্ত সিংহরায় বলেন, ‘আমাদের সমস্ত পরিকাঠামো রয়েছে। তারপরও এ বার পুনর্নবীকরণের শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *