এই সময়, বর্ধমান: বর্ধমানের মিঠাপুকুরের ভুবনেশ্বরী কালী মন্দির। যা এলাকায় সোনার কালী বলে পরিচিত। মিঠাপুকুরের কাছে ভুবনেশ্বরী কালী মন্দিরে ঢুকলে পরিষ্কার হয় বর্ধমান মহারাজের আমালে তৈরি হওয়া এই মন্দিরের স্থাপত্য। গোটা মন্দির জুড়ে তার ছোঁয়া সর্বত্র। বিশিষ্ট ইতিহাস গবেষক সর্বজিৎ যশ মন্দিরের ইতিহাস প্রসঙ্গে বলেন, ‘বর্ধমানের মহারানি নারায়ণ কুমারী ১৩০৬ সালে স্বপ্নাদেশ পেয়ে সোনার কালীবাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন।
সোনার কালীবাড়িতে যে বিগ্রহ রয়েছে সেটি দশ মহাবিদ্যার ভুবনেশ্বরী কালী। এই কালী মূর্তিকে প্রসন্ন মূর্তি বলা হয়। দেবী এখানে পদ্মের উপরে বসে আছেন। ভুবনেশ্বরী কালীর বাঁদিকে মঙ্গলচণ্ডী, ডানডিকে দক্ষিণাকালীর ছোট মন্দির রয়েছে। লোকশ্রুতি, এই মূর্তি প্রতিষ্ঠার সময়ে একটি ৮ বছরের মেয়েকে জীবন্ত অবস্থায় পুঁতে তার উপরে বেদী তৈরি করা হয়েছিল। এখনও পুজোর খবর বর্ধমান মহারাজার বংশধর প্রণবচাঁদ মহতাব বহন করেন।’
সোনার কালীবাড়িতে যে বিগ্রহ রয়েছে সেটি দশ মহাবিদ্যার ভুবনেশ্বরী কালী। এই কালী মূর্তিকে প্রসন্ন মূর্তি বলা হয়। দেবী এখানে পদ্মের উপরে বসে আছেন। ভুবনেশ্বরী কালীর বাঁদিকে মঙ্গলচণ্ডী, ডানডিকে দক্ষিণাকালীর ছোট মন্দির রয়েছে। লোকশ্রুতি, এই মূর্তি প্রতিষ্ঠার সময়ে একটি ৮ বছরের মেয়েকে জীবন্ত অবস্থায় পুঁতে তার উপরে বেদী তৈরি করা হয়েছিল। এখনও পুজোর খবর বর্ধমান মহারাজার বংশধর প্রণবচাঁদ মহতাব বহন করেন।’
ভুবনেশ্বরী মন্দিরে দেবীর সামনেই রয়েছে নারায়ণেশ্বর। মন্দিরের পুরোহিত বলেন, ‘একটি শাঁখ রানিমা সমুদ্রের ধার থেকে নিয়ে এসেছিলেন আজ থেকে প্রায় একশো বছরের বেশি আগে। সেই থেকেই আমরা প্রতি সন্ধ্যায় সন্ধ্যারতির পরে এই শাঁখ বাজাই।’ এই শাঁখের আওয়াজ গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পুজোর দিনে তিল ধারণের জায়গা থাকে না মন্দির চত্বরে। বহু দূর-দূরান্ত থেকেও ভক্তরা আসেন মন্দিরের পুজোয় অংশ নিতে। নিত্যসেবার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মন্দিরের বহু অংশই ক্রমেই ভেঙে পড়ছে।