কলকাতার ক্যানাল ইস্ট রোড, ক্যানার সার্কুলার রোড, উল্টোডাঙ্গা বাসন্তী কলোনিতে ব্যাপক শব্দবাজির দাপটের অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ইএম বাইপাস লাগোয়া দত্তাবাদ কলোনি, ভি আইপি নগর, টেগোর পার্ক এলাকাতেও বিভিন্ন রকমের শব্দবাজির দাপট। শোনা যাচ্ছে দোদোমার আওয়াজ। কসবা, গরফা এলাকায় আলোর বাজির সঙ্গে শব্দবাজিরও দাপট। অন্যদিকে হাওড়াতেও লাগাতার শব্দবাজি দাপটের অভিযোগ আসছে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে হাওড়া ফেরার পথে মেইন ব্রিজ থেকে ডান দিকে তাকালে হাওড়া ব্রিজ বলে যে কিছু আছে তার অস্তিত্বই কার্যত টের পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে বাজির আগুনে পুড়ল ট্রাক। কামালগাজিতে সার্দান বাইপাসের নীচে পার্কিং করা ছিল ট্রাকটি। আশেপাশে আরও কয়েকটি ট্রাক ছিল। হঠাৎই বাজির আগুন এসে লাগে ট্রাকের উপরে থাকা ত্রিপলে। সেখান থেকে আগুন ধরে যায় ট্রাকটিকে। স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেরাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ দমকলে খবর দিলে ২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ট্রাকের পুরো ইঞ্জিন পুড়ে গিয়েছে।
এদিকে ইতিমধ্যেই ধরপাকড় শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। রাত্রি ৮টা পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ২২ জনকে। ৯.৫ কেজি নিষিদ্ধ বাজিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কালী পুজোয় বাজির পোড়ানোর বিরুদ্ধে বিগত কয়েক বছর ধরেই প্রচার চালানো হচ্ছে বিভিন্নমহল থেকে। রাজ্য সরকারের তরফেও বারেবরেই সবুজ বাজি পোড়ানোর কথা বলা হচ্ছে। এমনকী শব্দবাজির বিরুদ্ধে লাগাতার চালানো হয় ধরপাকড় অভিযান। এদিকে আবার এরই মাঝে শব্দবাজির ডেসিবেলের মাত্রা বাড়ানো হয়েছে রাজ্যে। ৯০ থেকে সেটিকে ১২৫ ডেসিবেল করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ইতিমধ্যেই আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সবুজ মঞ্চের তরফে মামলা করা হয়েছে হাইকোর্টে।
বাজি সংগঠনের পক্ষ থেকে যা বলা হয়…
এদিকে এই বিষয়ে সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় জানান,আগে বাজির প্রধান উপাদান ছিল বেরিয়াম বা সোডা, গন্দক ও কাঠকয়লা। তবে এখন ওই বেরিয়াম বা সোডার পরিবর্তে অন্য এক ধরণের কেমিক্যাল ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। আর এই বেরিয়াম বা সোডা ছাড়া বাজিকেই বলা হচ্ছে সবুজ বাজি। সবুজ বাজিতে দূষণের মাত্রা ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো যায় বলেই জানাচ্ছেন তিনি। তবে সোডার পরিবর্তে নতুন উপাদান ব্যবহারের ফলে বাজির দামে খুব বেশি পার্থক্য হয়নি বলেও জানান বাবলা রায়। যদিও এতকিছুর পরেও দীপাবলিতে কমানো গেল না শব্দবাজির দাপট।